যুক্তরাষ্ট্রের টেনিসে অবস্থিত একটি বিস্ফোরক সরবরাহকারী কোম্পানিতে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে, যা গভীর শোকের সৃষ্টি করেছে। এই ঘটনায় কমপক্ষে ১৯ জন নিখোঁজ রয়েছেন, বলে ধারণা করা হচ্ছে তারা সবাই প্রাণ হারিয়েছেন। কোম্পানিটি মূলত মার্কিন সেনাদের জন্য বিস্ফোরক সরবরাহ করত। বার্তাসংস্থা এপি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শুক্রবার (১০ অক্টোবর) ‘অ্যাকুরেট এনার্জিটিক সিস্টেম’ নামে ওই কোম্পানির ক্যাম্পাসে এত
যুক্তরাষ্ট্রের টেনিসে অবস্থিত একটি বিস্ফোরক সরবরাহকারী কোম্পানিতে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে, যা গভীর শোকের সৃষ্টি করেছে। এই ঘটনায় কমপক্ষে ১৯ জন নিখোঁজ রয়েছেন, বলে ধারণা করা হচ্ছে তারা সবাই প্রাণ হারিয়েছেন। কোম্পানিটি মূলত মার্কিন সেনাদের জন্য বিস্ফোরক সরবরাহ করত।
বার্তাসংস্থা এপি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শুক্রবার (১০ অক্টোবর) ‘অ্যাকুরেট এনার্জিটিক সিস্টেম’ নামে ওই কোম্পানির ক্যাম্পাসে এত বড় বিস্ফোরণ ঘটে যে ১৩শত একরের বিস্তীর্ণ ওই এলাকা বিধ্বস্ত হয়। এই বিস্ফোরণের আওয়ারা কয়েক মাইল দূরের বাড়িঘরেও শুনতে পাওয়া যায়।
প্রাথমিক অবস্থায় উদ্ধারকারীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারেননি, কারণ বিস্ফোরক বোঝাই অবস্থায় পরিস্থিতি ছিল ঝুঁকিপূর্ণ। আবারও বিস্ফোরণের আশঙ্কায় তারা গাদাগাদি করে কাজ করতে পারেননি।
টেনিসের হাম্পপ্রিস কাউন্টির নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ক্রিস ডেভিস জানিয়েছেন, “এটি এক ভাষায় প্রকাশের মতো ঘটনা নয়—ক্ষেত্রটি ব্যাপক ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।” তিনি আরো বলেছিলেন, এই দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ইতিমধ্যে একাধিক হতে পারে, তবে তারা নিশ্চিতভাবে তা জানাতে পারেননি।
কোম্পানির ওয়েবসাইটে জানানো হয়, তারা সেনাবাহিনী, মহাকাশ গবেষণা সংস্থা এবং ভবন ধ্বংসের কাজে ব্যবহৃত বিস্ফোরক সরবরাহ করে থাকে। বিদেশি সেনা ইউনিটেরাও এসব বিস্ফোরক ব্যবহার করে।
এই কোম্পানির মূল কার্যালয় অবস্থিত ব্যাকসনোর্ট শহরের বনাঞ্চলীয় পাহাড়ি এলাকায়। সেখানে আটটি ভবন ছিল, যা নাসভিলের দক্ষিণপূর্বের ৯৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানা গেছে, অ্যাকুরেট এনার্জিটিক সিস্টেম বেশ কিছু পুরোনো সামরিক চুক্তি পেয়েছে, যার মধ্যে বিস্ফোরক ও অস্ত্রের সরবরাহ অন্তর্ভুক্ত। এসব চুক্তিগুলো অনেক পুরোনো এবং দীর্ঘদিন ধরে কার্যকর ছিল।
প্রাথমিক ধারণা অনুযায়ী, এই ভয়াবহ বিস্ফোরণের জেরেই এত প্রাণহানি ও সম্পত্তির বড় ক্ষতি হয়েছে। পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন।