সহযোদ্ধাদের ভালোবাসায় সিক্ত সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম শেষযাত্রায়

সহযোদ্ধাদের ভালোবাসায় সিক্ত সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম শেষযাত্রায়

শেষযাত্রায় সহকর্মী ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সদস্যরা শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় ভাসলেন লেখক ও শিক্ষাবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের अंतिम বিদায় অনুষ্ঠানে। তার মৃত্যুতে শুধু পরিবার-পরিজনই নয়, বিপুল সংখ্যক সহকর্মী, ছাত্র, সরকারী পরামর্শদাতা, লেখক, রাজনীতিবিদ ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দও শোকের ছায়া নেমে আসে। শনিবার (১১ অক্টোবর) সকাল ১১টায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে তার মরদেহ প্রথমে রাখা হয়,

শেষযাত্রায় সহকর্মী ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সদস্যরা শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় ভাসলেন লেখক ও শিক্ষাবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের अंतिम বিদায় অনুষ্ঠানে। তার মৃত্যুতে শুধু পরিবার-পরিজনই নয়, বিপুল সংখ্যক সহকর্মী, ছাত্র, সরকারী পরামর্শদাতা, লেখক, রাজনীতিবিদ ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দও শোকের ছায়া নেমে আসে।

শনিবার (১১ অক্টোবর) সকাল ১১টায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে তার মরদেহ প্রথমে রাখা হয়, যাতে সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। দুপুরের দিকে সেখান থেকে তার মরদেহ বাংলাদেশ ব্যাংকের এইডস কেঞ্জের মাধ্যমে ঢাকার জামে মসজিদে নেওয়া হয়। এরপর সেখানে তার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

শ্রদ্ধা উৎসবের এই সময় বৃষ্টি উপেক্ষা করে বহু মানুষ উপস্থিত হন। মরদেহে ফুল দিয়ে তাঁদের শ্রদ্ধা জানান শিক্ষক, ছাত্র, লেখক, সংস্কৃতিকর্মী ও বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা। কেউ কেউ দীর্ঘকালীন সহযোদ্ধা হিসেবে তার স্মৃতিচারণ করেন ও তাকে নির্লোভ, সৎ ও বিনয়ী মানুষ হিসেবে উল্লেখ করেন।

তার সহকর্মীরা বলেন, তিনি অন্যের মতামতকে সম্মান করার পাশাপাশি নতুন লেখকদের উৎসাহ দিতেন, শিক্ষায় ও মানবিক গুণে অনন্য একজন অধ্যাপক ছিলেন।

আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, তিনি ছিলেন জ্ঞানী, বিনয়ী ও সাহসী। অন্যের মতামতকে সম্মান করতেন, সব সময় নতুন লেখকদের জন্য উদ্বুদ্ধ করতেন।

বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, তিনি ছিলেন সবার প্রিয়, স্পষ্ট ব্যক্তিত্বের অধিকারী। ভিন্নমত সত্ত্বেও তার মানসিকতা উদার ছিল। তিনি বাংলাদেশের শিক্ষার অগ্রযাত্রায় একজন অমূল্য ব্যক্তিত্ব ছিলেন।

বিশিষ্ট চিত্রধর ও সাহিত্যচর্চাবিদ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী উল্লেখ করেন, তিনি নানা ধারায় কাজ করতেন—অংগচিত্র, নন্দনতত্ত্ব, ইংরেজি সাহিত্য ও নাটক। তার কাজের ধারায় ছিলেন নতুন ভাবনা, তিনি সব সময় কর্মক্ষম ও সদা সচেতন থাকতেন। তাঁর অনুপ্রেরণা তরুণ প্রজন্মের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তিত্বরা। উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক কাফী রতন, বাসদ ও সমাজতান্ত্রিক দল, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন, সংবাদ সংস্থার প্রধান সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ, কথাসাহিত্যিক মো. হেলাল, শিল্পকলা একাডেমি, শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্টের প্রতিনিধি, স্বত্বাধিকারী মাজহারুল ইসলাম, হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক জাহাঙ্গীর হোসেন, কবিতা পরিষদের সভাপতি মোহন রায়হান, পাঠশালা সাউথ এশিয়ান ফোরাম, আলোকচিত্রী শহিদুল আলমসহ দেশের নানা প্রগতিশীল সংগঠন।

সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের মরদেহ পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে তার জনপ্রিয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি, সকাল ১০:৩০টার দিকে অপরাজেয় বাংলার সামনে তার মরদেহে শ্রদ্ধা জানান দ University’s different departments and SET students, reflecting তার ব্যক্তিত্ব ও মানবিক গুণাবলী।

Staff Reporter
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos