চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনের আগে বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর প্যানেল ‘বৈচিত্র্যের ঐক্য’ আনুষ্ঠানিক ইশতেহার ঘোষণা করেছে। এই ইশতেহারে তারা নিয়মিত নির্বাচন চালু রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে, পাশাপাশি নিরাপদ ক্যাম্পাস এবং শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করার অঙ্গীকার করে। প্যানেলটির জিএস প্রার্থী সুদর্শন চাকমা এ ইশতেহার ঘোষণা করেন।

বৃহস্পতিবার বেলা ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকসু ভবনের সামনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ইশতেহারে আরো উল্লেখ করা হয়, তারা আবাসন, পরিবহন, খাদ্য, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ, শিক্ষা ও গবেষণা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া, জাতিগত বৈচিত্র্য এবং নারীবান্ধব ক্যাম্পাস গড়তে কাজ করবে। এছাড়া তারা গণতন্ত্র, স্বায়ত্তশাসন ও মানবাধিকার বিষয়েও অঙ্গীকারাবদ্ধ।

সংবাদ সম্মেলনে বৈচিত্র্যের ঐক্য প্যানেলের vicepresident প্রার্থী ধ্রুব বড়ুয়া বলেন, “আমরা এই ইশতেহার ঘোষণা করছি। ইতিহাসের গণসংগ্রামের অভিজ্ঞতা নিয়ে আমরা গণতান্ত্রিক পরিবেশ প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাব। নিয়মিত নির্বাচন চালু রাখার পাশাপাশি, নিরাপদ ক্যাম্পাস ও শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতেই আমাদের কাজ থাকবে।”

তিনি আরও বলেন, “সন্ত্রাস, দখলদারিত্বমুক্ত ও নিরাপদ একাডেমিক পরিবেশ গড়ে তুলতে আমাদের লক্ষ্য। মব ভয়েলেন্স ও মোরাল পুলিশিং প্রতিরোধে শিক্ষার্থীদের একযোগে কাজ করতে চাই। এর ফলে আমরা নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করব এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও মানুষের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান রক্ষা করবো।”

এ বিষয়ে উপস্থিত ছিলেন, প্যানেলের vice-president প্রার্থী ধ্রুব বড়ুয়া, জিএস প্রার্থী সুদর্শন চাকমা, এজিএস প্রার্থী জশদ জাকিরসহ অন্যান্য সদস্যরা।

প্রায় তিন দশক পর, আগামী ১৫ অক্টোবর সপ্তমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চাকসু নির্বাচন। এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন মোট ৯০৮ জন প্রার্থী। তাঁদের মধ্যে চাকসুর ২৬টি পদের জন্য ৪১৫ জন, হাউস সংসদের ৪৭৩ জন এবং হোস্টেল সংসদের ২০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। মোট ভোটার সংখ্যা ২৭ হাজার ৫২১ জন, যার মধ্যে ছাত্র ১৬ হাজার ৮০৪ জন এবং ছাত্রী ১১ হাজার ৩২৯ জন। ভোটগ্রহণ সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে।