নেতানিয়াহু আর পুতিনের ফোনালাপে মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি আলোচনা

নেতানিয়াহু আর পুতিনের ফোনালাপে মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি আলোচনা

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেযিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের টেলিফোন এ আলোচনা হয়েছে। এই আলাপ চার গেলে, গাজা পরিস্থিতি, ফিলিস্তিনি সংকট এবং মধ্যপ্রাচ্যের সামগ্রিক নিরাপত্তা বিষয়গুলো গুরুত্ব পেয়েছে। এটি জুলাইয়ের পর তৃতীয়বারের মতো ফোনালাপ। ক্রেমলিন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই আলোচনায় পুতিন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত আইনগত কাঠামোর ভিত্তিতে ফিলিস্তিন সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের ওপর জোর দিয়ে বলেছেন। তিনি

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেযিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের টেলিফোন এ আলোচনা হয়েছে। এই আলাপ চার গেলে, গাজা পরিস্থিতি, ফিলিস্তিনি সংকট এবং মধ্যপ্রাচ্যের সামগ্রিক নিরাপত্তা বিষয়গুলো গুরুত্ব পেয়েছে। এটি জুলাইয়ের পর তৃতীয়বারের মতো ফোনালাপ। ক্রেমলিন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই আলোচনায় পুতিন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত আইনগত কাঠামোর ভিত্তিতে ফিলিস্তিন সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের ওপর জোর দিয়ে বলেছেন। তিনি বলেছেন, স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠন অত্যাবশ্যক। আলাপচারিতায় মধ্যপ্রাচ্যের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়। এর মধ্যে রয়েছে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি, সিরিয়ার স্থিতিশীলতা এবং ইসরায়েলের নিরাপত্তা পরিস্থিতি—এগুলো আলোচনায় উঠে আসে পুতিন ও নেতনিয়াহুর মধ্যে। বিশেষ করে গাজা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক ‘শান্তি প্রস্তাব’ নিয়েও আলোচনা হয় বলে জানায় ক্রেমলিন। উল্লেখ্য, ২৩ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে গাজার যুদ্ধ ও মানবিক বিপর্যয় নিয়ে একটি বিশেষ বৈঠক হয়। সেখানে মুসলিম বিশ্বের আট দেশের শীর্ষ নেতা উপস্থিত ছিলেন, যারা হলো সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, মিসর, জর্ডান, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া ও পাকিস্তান। এই বৈঠকের ধারাবাহিকতায়, ২৯ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সাথে নেতানিয়াহুর রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়। পরবর্তীতে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প গাজা যুদ্ধ বন্ধ ও মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনা ঘোষণা করেন। এই পরিকল্পনায় হামাসের কার্যক্রম বন্ধ করা, ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি এবং দীর্ঘ সময়ের সংঘাতের সমাপ্তি মূল লক্ষ্য হিসেবে নির্ধারিত হয়। হামাস এ পরিকল্পনাকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করে, যা আন্তর্জাতিক মহলে আশাবাদ সৃষ্টি করেছে। পুতিন এই শান্তি পরিকল্পনার প্রশংসা করে বলেন, এই উদ্যোগ মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির জন্য কার্যকর হতে পারে। তিনি আরও আশা প্রকাশ করেন, ট্রাম্পের প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে গাজার সংকটের টেকসই সমাধান সম্ভব। তবে, পুতিন জোর দিয়ে বলেন, গাজা বা ফিলিস্তিনের সংকটের চূড়ান্ত সমাধান তখনই হবে, যখন সেখানে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন হবে।

Staff Reporter
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos