বিশ্ব ব্যবস্থা ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছে: গ্রেটা থুনবার্গ

বিশ্ব ব্যবস্থা ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছে: গ্রেটা থুনবার্গ

সুইডিশ অঙ্গীকারধারী অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তির পর প্রথমবারের মতো সরাসরি বক্তব্য দিয়েছেন। গাজায় ইসরায়েলি আন্তর্জাতিক আক্রমণ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের চোখের সামনেই একটি গণহত্যা চলছে—এটি লাইভস্ট্রিমড গণহত্যা।’ গত সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে ১০টার দিকে গ্রেটা থুনবার্গ এথেন্সের জন্য মাত্র পৌঁছান। এথেন্স আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার উপস্থিতিতে অনেক সমর্থক তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত

সুইডিশ অঙ্গীকারধারী অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তির পর প্রথমবারের মতো সরাসরি বক্তব্য দিয়েছেন। গাজায় ইসরায়েলি আন্তর্জাতিক আক্রমণ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের চোখের সামনেই একটি গণহত্যা চলছে—এটি লাইভস্ট্রিমড গণহত্যা।’ গত সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে ১০টার দিকে গ্রেটা থুনবার্গ এথেন্সের জন্য মাত্র পৌঁছান।

এথেন্স আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার উপস্থিতিতে অনেক সমর্থক তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানায়। হাতে ছিল ফিলিস্তিনের পতাকা। সেখানে বক্তৃতা দেবার সময় তিনি বলেন, তাঁর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা নয়, বরং সত্যি হলো অন্য কিছু। তিনি উল্লেখ করেন, ইসরায়েল সব সময়ই দাবি করে যে তারা নির্দোষ, কিন্তু সত্য হলো, তারা গাজায় অমানবিক ও নির্মম সহিংসতা চালিয়ে যাচ্ছে এবং এটি ধীরে ধীরে একটি গণহত্যায় রূপ নিচ্ছে।

ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা গ্রেটা থুনবার্গসহ ৭১ জন আন্দোলনকারীকে বহিষ্কার করেছে। গ্রিসের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে, সোমবারের যাত্রীবাহী একটি ফ্লাইটে ১৬১ জন আন্দোলনকারী এসে পৌঁছেছেন, তাদের মধ্যে ২২ বছর বয়সী গ্রেটা ছাড়াও অন্যান্য দেশের প্রায় ২০টি দেশের প্রতিনিধি রয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘আমাদের আটক করার সময় কীভাবে আমাদের ওপর নির্যাতন চলেছে, আমার অনেক কিছু বলার আছে। কিন্তু মূল বিষয় হলো, চোখের সামনে গণহত্যা ঘটছে—এটি লাইভস্ট্রিম। এখন কেউ অজুহাত দিতে পারবে না যে তারা জানত না কী হচ্ছে। ভবিষ্যতেও বলার সুযোগ নেই, ‘আমরা জানতাম না।’’

থুনবার্গ অভিযোগ করেন, ইসরায়েল ব্যাপক সহিংসতা চালিয়ে যাচ্ছে, যা ‘গণহত্যার উদ্দেশ্যে’ চলছে এবং তারা এক পুরো জাতিকে মুছে ফেলতে চায়। তিনি বলেন, ‘আমরা গাজা ছাড়া অন্য কোটিগুলো দেখছি, যেমন কঙ্গো, সুদান, আফগানিস্তান বা অন্য কষ্টভোগী এলাকা। আমরা যা করছি, তা মানবতার জন্য সর্বনিম্ন কিছু।’

সহজ ভাষায় বলতে গেলে, তিনি বলেন, ‘আমি কখনও বুঝতে পারব না মানুষ এত নিষ্ঠুর হতে পারে কীভাবে। লক্ষ লক্ষ মানুষকে intentionally না খেয়ে রাখা হচ্ছে, বছর ধরে অবরোধ, নিপীড়ন ও বর্ণবৈষম্যের মধ্যে বন্দি করে রেখেছে।’

থুনবার্গ অভিযোগ করেন, ‘বিশ্ব ব্যবস্থাই ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছে। যুদ্ধাপরাধগুলো রোখার জন্য তারা কিছুই করতে পারে না। আমাদের সরকারগুলোর অনীহায় আমরা গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার মাধ্যমে কিছু করার চেষ্টা করেছি।’

ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে তিনি বলেন, গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা হলো ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সংহতির প্রতীক।

তিনি বলেন, গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশে বাধা দিয়ে ইসরায়েল আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে। তার আরও যুক্তি, ‘ইসরায়েল আমাদের আটক করার মাধ্যমে আমাদের সরকারগুলোর কাজের দৃষ্ঠিভঙ্গির ফলাফল দেখাচ্ছে। জাতিসংঘের কমিশনারও নিশ্চিত করেছেন, রাষ্ট্রীয় আইনগত বাধ্যবাধকতা থাকা সত্ত্বেও তারা দায়িত্ব বিরোধী কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে।’

তিনি স্পষ্ট করে বলেন, ‘ইসরায়েল গণহত্যা থেকে কোনোভাবেই দায়মুক্তি পাবে না।’

‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’-র ৪০টিরও বেশি নৌযানের বহর নিয়ে গাজায় যাওয়ার সময়, গত বুধবার, বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার, ইসরায়েল মোট ৪৭৯ জন অধিকারকর্মকে আটক করে। এর মধ্যে সোমবার গ্রেটা থুনবার্গসহ আরও ১৭১ জনকে ফেরত পাঠানো হয়। গত তিন দিনে পৃথকভাবে বিভিন্ন দেশের প্রায় ১৭০ জন অধিকারকর্মীকে ইসরায়েল ফেরত পাঠিয়েছে। তারা ইসরায়েলের বন্দিদশায় কীভাবে নির্যাতিত হয়েছেন, সে কথাও তারা প্রকাশ করেছেন।

Staff Reporter
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos