ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু কাতারে বিমান হামলার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চেয়ে বলেছেন, ভবিষ্যতে আর কখনও কাতারে হামলা হবে না। এই ঘোষণা তার আন্তরিক অনুশোচনার প্রমাণ। অন্যদিকে, কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি নেতানিয়াহুর এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। খবর আনাদোলু এজেন্সি। গত সোমবার হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে,
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু কাতারে বিমান হামলার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চেয়ে বলেছেন, ভবিষ্যতে আর কখনও কাতারে হামলা হবে না। এই ঘোষণা তার আন্তরিক অনুশোচনার প্রমাণ। অন্যদিকে, কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি নেতানিয়াহুর এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। খবর আনাদোলু এজেন্সি।
গত সোমবার হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের সময় নেতানিয়াহু কাতারের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করেন। এসময় তিনি কাতারে হামলার জন্য ক্ষমা চান।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, হামাসকে লক্ষ্য করে পরিচালিত ইসরায়েলি এ হামলায় কাতারি নিরাপত্তাকর্মী নিহত হওয়ার ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন নেতানিয়াহু। তিনি কাতারের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের জন্যও অনুতাপ পোষণ করেছেন।
এদিকে, কাতারের প্রধানমন্ত্রী আল থানি নেতানিয়াহুর এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে কাতার সবসময় প্রস্তুত। কাতার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এক বিবৃতিতে এই টেলিফোনালাপের সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৯ অক্টোবর বিকেলে কাতারের রাজধানী দোহায় একটি আবাসিক ভবনে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী। এই ভবনে গাজা উপত্যকার শীর্ষ নেতা খলিল আল হায়া ও অন্য হামাস নেতারা গাজায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত খসড়া প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করছিলেন।
তৎকালীন এই হামলার লক্ষ্য ছিল হামাসের নেতাদের হত্যার উদ্দেশ্য। এতে ছয়জন নিহত হন, যাদের মধ্যে একজন কাতারীয় নিরাপত্তাকর্মীও ছিলেন। তবে খলিল আল হায়া বা অন্য কোনও হামাস নেতার ক্ষতি হয়নি।