যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্র উৎপাদন দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা নিচ্ছে

যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্র উৎপাদন দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা নিচ্ছে

ভবিষ্যতে চীনের সাথে সম্ভাব্য সংঘর্ষ মোকাবেলার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ কঠোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ লক্ষ্যে সেখানে ১২টি গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্রের উৎপাদন হার দ্বিগুণ বা আরও বেশি বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, বিশেষ করে ক্ষেপণাস্ত্রের ক্ষেত্রে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল সোমবার এই বিষয়ে অবগত ব্যক্তিদের সূত্রে জানা গেছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই উচ্চচাপের পরিস্থিতিতে সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন

ভবিষ্যতে চীনের সাথে সম্ভাব্য সংঘর্ষ মোকাবেলার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ কঠোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ লক্ষ্যে সেখানে ১২টি গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্রের উৎপাদন হার দ্বিগুণ বা আরও বেশি বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, বিশেষ করে ক্ষেপণাস্ত্রের ক্ষেত্রে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল সোমবার এই বিষয়ে অবগত ব্যক্তিদের সূত্রে জানা গেছে।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই উচ্চচাপের পরিস্থিতিতে সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন অস্ত্রের দ্রুত উৎপাদন নিশ্চিত করতে পেন্টাগনের শীর্ষ নেতারা এবং কিছু মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান দূরদর্শী বৈঠক করেছেন। এর মাধ্যমে উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়।

জুন মাসে পেন্টাগনের এক গোলটেবিল বৈঠকেও এই বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল, যেখানে যুদ্ধমন্ত্রী পিট হেগসেথ, জয়েন্ট চিফ অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল ড্যান কেইন, এবং শীর্ষ ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহকারী ও নতুন প্রবেশকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন। এই বৈঠকে আন্দুরিল ইন্ডাস্ট্রিজের মতো গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহকারীরাও উপস্থিত ছিলেন।

পেন্টাগনের মুখপাত্র শন পার্নেল বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও যুদ্ধমন্ত্রী হেগসেথ আমাদের সামরিক শক্তি বৃদ্ধির জন্য নানা যুগান্তকারী উপায় অনুসন্ধান করছেন। এই উদ্যোগটি সম্পন্ন হয়েছে প্রতিরক্ষা শিল্পের নেতৃবৃন্দ এবং পেন্টাগনের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায়।’

তবে, এই প্রচেষ্টার সঙ্গে জড়িত কিছু ব্যক্তির মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে যে, এর বাস্তবায়ন সময়সীমা এবং নিরাপত্তার দিক থেকে কিছু প্রশ্ন উঠেছে। ক্ষেপণাস্ত্রগুলো সম্পূর্ণভাবে একত্র হওয়ার জন্য দুই বছর সময় লাগতে পারে, এবং নতুন সরবরাহকারীদের কাছ থেকে আসা অস্ত্রের নিরাপত্তা ও নির্ভরযোগ্যতা এখনও পরীক্ষাধীন।

অপরদিকে, উৎপাদন বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের ক্ষেত্রেও কিছু বিভ্রান্তি রয়েছে। গত জুলাইয়ে ট্রাম্প প্রশাসন ২৫ বিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত অস্ত্র তহবিলে অনুমোদন দিলেও, বিশ্লেষকরা বলছেন আরও কিছু বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হতে পারে।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার ইউক্রেনে আক্রমণের প্রতিরোধে ব্যয়বহুল ইন্টারসেপ্টর প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়ে চললেও তা যথেষ্ট নয়। সামনে দেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের সরবরাহ ও ব্যবহার বাড়ানোর জন্য মার্কিন কর্মকর্তারা জোর দিচ্ছেন, বিশেষ করে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মিত্রদের সুরক্ষার জন্য। জুনে ট্রাম্প প্রশাসন আরও aggressive উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল।

ইতিমধ্যেই ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সংঘর্ষের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শত শত উচ্চমানের ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে, ফলে তাদের ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডার কিছুটা কমে গেছে।

অন্তর্বর্তীভাবে, মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো চীনের সাথে সম্ভাব্য সংঘর্ষের জন্য যে ১২টি অস্ত্রের ওপর দৃষ্টি কেন্দ্রীভূত হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে: প্যাট্রিয়ট ইন্টারসেপ্টর, লং রেঞ্জ অ্যান্টি-শিপ মিসাইল, স্ট্যান্ডার্ড মিসাইল-৬, প্রিসিশন স্ট্রাইক মিসাইল এবং জয়েন্ট এয়ার-সারফেস স্ট্যান্ডঅব মিসাইল। এর মধ্যে প্যাট্রিয়টকে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।

Staff Reporter
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos