জয়পুরহাটে চার শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের মারধরের অভিযোগ

জয়পুরহাটে চার শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের মারধরের অভিযোগ

জয়পুরহাটের এক প্রাইভেট স্কুলে চারজন শিক্ষক শিক্ষার্থীদের উপর ধারাবাহিক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার রাতে, যখন ওই শিক্ষকদের পরিচালনায় থাকা আবাসিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২২ জনকে মারধর করা হয়। জয়পুরহাট সদর উপজেলার ইউএনও রাশেদুল ইসলাম জানিয়েছেন, মারধরের এই ঘটনা পরে জানতে পারে স্থানীয়রা। নর্থ বেঙ্গল মডেল স্কুল অ্যান্ড ক্যাডেট একাডেমির নামের ওই প্রতিষ্ঠানটি

জয়পুরহাটের এক প্রাইভেট স্কুলে চারজন শিক্ষক শিক্ষার্থীদের উপর ধারাবাহিক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার রাতে, যখন ওই শিক্ষকদের পরিচালনায় থাকা আবাসিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২২ জনকে মারধর করা হয়। জয়পুরহাট সদর উপজেলার ইউএনও রাশেদুল ইসলাম জানিয়েছেন, মারধরের এই ঘটনা পরে জানতে পারে স্থানীয়রা।

নর্থ বেঙ্গল মডেল স্কুল অ্যান্ড ক্যাডেট একাডেমির নামের ওই প্রতিষ্ঠানটি শহরের প্রফেসরপাড়া এলাকার একটি বিদ্যালয়। এই স্কুলে দশম শ্রেণি পর্যন্ত স্থানীয় ও পাশ্ববর্তী জেলার শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করছে। দীর্ঘদিন ধরে, বড় অনাচার ও অমানবিক আচরণের অভিযোগ রয়েছে বিদ্যালয়টির শিক্ষকদের বিরুদ্ধে।

অভিভাবকদের অভিযোগ, শিক্ষক আশিকুর রহমান, এমদাদ হোসেন, আবুল বাশার ও ওমর ফারুক নিয়মিত শিক্ষার্থীদের সাথে অমানবিক আচরণ করে থাকেন। বিশেষ করে, গত শুক্রবার রাতে, ছোটোখাটো কারণের জন্য গানে গাওয়া ও টেলিভিশন দেখাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মারধর করেছেন শিক্ষকরা। পরে, এক শিক্ষার্থী বাড়ি ফিরে অভিভাবকদের বিষয়টি জানালে, তারা স্কুলে গিয়ে প্রতিকার চেয়েছেন।

অভিভাবকদের মতে, শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে এই ধরনের নির্যাতনের শিকার হলেও স্কুলের পরিচালনাকর্মীরা কোনো ব্যবস্থা নেননি। এর মধ্যে এক শিক্ষার্থী জানায়, সকালে শিক্ষক দেরি করেন বলে উদ্ভাসিত পরিস্থিতিতে তাকে মারধর করা হয়। অন্য শিক্ষার্থী জানায়, ক্লাসে ঢুকে তাদের হুকে ‘হু আর ইউ’ বললে শিক্ষকেরা মারধর শুরু করেন। আরেকজন বললেন, কথাকাটাকাটির কারণে তাদেরও পেটানো হয়।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, কিছু শিক্ষক এমনকি শিক্ষকদের অসদাচরণ বা মারধর নিয়ে অভিযোগ করলে তারা কোনো বৈধ ব্যবস্থা নেয়নি। অভিভাবকরা দাবি করেন, সন্তানদের ওপর ধারাবাহিক নির্যাতন বন্ধে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।

এদিকে, অভিযোগের পর শিক্ষকরা পলানো হলেও পুলিশ স্কুলের পরিচালক ও প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে, তিনি একটি মুচলেকা দিয়ে বাড়িতে ফিরে যান।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম জানিয়েছেন, ঘটনাটির সত্যতা স্বীকার করে বললেন, অভিযুক্ত শিক্ষকদে র বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। উদ্বেগের বিষয়টি তদন্তের জন্য তিন সদস্যের এক কমিটি গঠন করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম বলেন, आरोपিত শিক্ষকরা ঘটনাস্থলে না থাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা সম্ভব হয়নি। তবে, স্কুলের প্রধান তাদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য লিখিত অঙ্গীকার করেছেন। তদন্তে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য একটি কমিটি গঠন ও প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

Staff Reporter
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos