বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সতর্ক করে বলেছেন, ভবিষ্যতে গোপন স্বৈরাচারী শাসনের উত্থান ঘটতে পারে যদি রাজনৈতিক দলগুলো এবং জনগণ একযোগে ঐক্যবদ্ধ না হন। বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে এবং ২০১২ সালের ওয়ান ইলেভেনে যেভাবে স্বৈরাচারী শক্তি বিশ্বাসঘাতকভাবে ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করেছিল, তেমনি অগোচরে নতুন স্বৈরাচার সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। তারেক রহমান জোর দিয়ে বলেন, দেশের জন্য
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সতর্ক করে বলেছেন, ভবিষ্যতে গোপন স্বৈরাচারী শাসনের উত্থান ঘটতে পারে যদি রাজনৈতিক দলগুলো এবং জনগণ একযোগে ঐক্যবদ্ধ না হন। বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে এবং ২০১২ সালের ওয়ান ইলেভেনে যেভাবে স্বৈরাচারী শক্তি বিশ্বাসঘাতকভাবে ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করেছিল, তেমনি অগোচরে নতুন স্বৈরাচার সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। তারেক রহমান জোর দিয়ে বলেন, দেশের জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে, কারণ দেশের স্বার্থ সবসময় আগে আসা উচিত। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশই আমাদের প্রথম ও শেষ কথা। শনিবার বিকেলে কুমিল্লা টাউন হল মাঠে অনুষ্ঠিত কুমিল্লা দক্ষিণ বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এ উপলক্ষে ১৬ বছর পর এই অঞ্চলের বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমদ প্রধান বক্তা ছিলেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিএনপির বিভিন্ন নেতাকর্মী ও অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন। তারেক রহমান আরও বলেন, এখনই আমাদের কাজের समय, সম্মেলনের শ্লোগান হওয়া উচিত, ঐক্য, জনগণ ও পুনর্গঠনের পরিকল্পনা। তিনি জানান, নেতাকর্মীরা ইতিমধ্যে দেশের জন্য স্লোগান দিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলেছেন; অনেকের জীবন বিপন্ন হয়েছে, গ্রেপ্তার হয়েছেন, গুম হয়েছেন। তিনি বলেন, আমাদের এখন একটাই উদ্দেশ্য— সকল ভেদাভেদ ভুলে দেশের জন্য একত্রে কাজ করা। দেশের ভবিষ্যত নিরাপদ করতে, স্বৈরাচারী শক্তির দমন করতে এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। তারেক রহমান বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এক স্বৈরাচার জনগণের কাঁধে চেপে বসেছিল, যা পরবর্তীতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তি লাভ করেছে। এরপর আবার স্বৈরাচার ফেরার চেষ্টা চলেছে, কিন্তু জনগণ ধারাবাহিক আন্দোলন ও সংগ্রামের মাধ্যমে তাদেকে পরাস্ত করেছে। তিনি উল্লেখ করেন, দেশের ভবিষ্যত গঠন করতেই আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। দেশের প্রতিটি ঘরকে সচেতন ও একত্রিত করতে হবে। তিনি বলেন, দেশের সম্পদ ও ক্ষমতা বর্তমানে জনগণের হাতে আসা উচিত। তিনি জানান, গত ১৫-১৬ বছর ধরে আমাদের আন্দোলন স্বৈরাচার পতনের জন্য চালানো হয়েছে; এখন আমাদের মূল কাজ হলো দেশকে পুনর্গঠন করা। সম্মেলনে নতুন নেতৃত্ব হিসেবে জাকারিয়া তাহের সুমনেকে আহ্বায়ক ও আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিমকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করা হয়।