চীনের জনপ্রিয় আর্থিক পরিষেবা প্রতিষ্ঠান টপপে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। আজ ২৭ সেপ্টেম্বর গুলশান-১ এ অবস্থিত টপপের অফিসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে তারা দেশের বাজারে প্রবেশ করে। এই গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগটি বাংলাদেশের গ্রাহকদের জন্য সহজ, ঝামেলা মুক্ত এবং সুবিধাজনক মোবাইল কেনার সুযোগ করে দেবে। টপপের মূল লক্ষ্য হলো সহজ পেমেন্ট অপশন দিয়ে বেশি
চীনের জনপ্রিয় আর্থিক পরিষেবা প্রতিষ্ঠান টপপে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। আজ ২৭ সেপ্টেম্বর গুলশান-১ এ অবস্থিত টপপের অফিসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে তারা দেশের বাজারে প্রবেশ করে। এই গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগটি বাংলাদেশের গ্রাহকদের জন্য সহজ, ঝামেলা মুক্ত এবং সুবিধাজনক মোবাইল কেনার সুযোগ করে দেবে।
টপপের মূল লক্ষ্য হলো সহজ পেমেন্ট অপশন দিয়ে বেশি সংখ্যক মানুষের জন্য অর্থনৈতিক সুবিধা নিশ্চিত করা। বিশেষ করে তারা কার্ড ছাড়াই ইএমআই (কিস্তি) সেবা চালু করেছে, যা দিয়ে গ্রাহকেরা খুব সহজে কম কিস্তিতে স্মার্টফোন কিনতে পারবেন। এতে ক্রেডিট কার্ডের প্রয়োজন নিবে না এবং হঠাৎ বড় অংকের টাকা দেওয়া বা সংগ্রাম করার ঝামেলা অনেকটাই কমে যাবে। এর ফলে, সাধারণ মানুষও আধুনিক ও মহার্ঘ্য স্মার্টফোন ব্যবহার করতে আরও সহজ হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে টপপের পক্ষ থেকে মোবাইল ব্র্যান্ড অপো, রিয়েলমি ও ওয়ানপ্লাসের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ঘোষণা দেওয়া হয়ে। এর মাধ্যমে গ্রাহকরা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোবাইল সহজ কিস্তিতে কিনতে পারবেন এবং চাইলে নিয়মিত ডিভাইসও আপগ্রেড করার সুযোগ পাবেন। বিশেষ করে তরুণ ও পেশাজীবীদের জন্য এটি প্রযুক্তির প্রয়োগের ধারা আরও সহজ করে তুলবে।
এ সময় টপপের সিইও চেনফেই বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে ৩৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছি, এবং ভবিষ্যতে এই পরিমাণ আরও ২,৫০০ কোটি টাকায় উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে। আমাদের লক্ষ্য হলো আগামী ৩ থেকে ৫ বছরের মধ্যে ১৫ লাখের বেশি গ্রাহকের জন্য সেবা প্রদান করা। শুধু মোবাইল ফাইন্যান্সিংই নয়, ভবিষ্যতে আমরা আর্থিক পরিষেবা, পেমেন্ট সেবা, সামাজিক দায়িত্ব ও দাতব্য কাজেও নিজেদের সম্পৃক্ত করবো।’
বাংলাদেশে টপপের এই উদ্যোগ শুধু মোবাইল কেনার পদ্ধতিই বদলে দিচ্ছে না, বরং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও ডিজিটাল রূপান্তরেও বড় ভূমিকা রাখছে। সহজ কিস্তিতে মোবাইল কেনার সুবিধা পাওয়ায় আরও বেশি মানুষ স্মার্টফোন ব্যবহার করতে পারবে, যার ফলে ডিজিটাল সেবা ও সংযোগ দ্রুত বৃদ্ধি পাবে এবং একটি প্রযুক্তিনির্ভর সমাজ গড়ে উঠবে।
টপপের এই পদক্ষেপ প্রমাণ করে তারা শুধু ব্যবসা নয়, বাংলাদেশের টেক ইকোসিস্টেম ও গ্রাহকদের পরিবর্তিত চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে চায়।