নোবেল শান্তি পুরস্কার পেতে ট্রাম্পকে গাজার যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে: ম্যাক্রোঁ

নোবেল শান্তি পুরস্কার পেতে ট্রাম্পকে গাজার যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে: ম্যাক্রোঁ

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ গত মঙ্গলবার বলেছেন, যদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সত্যিই নোবেল শান্তি পুরস্কার পেতে চান, তাহলে তাঁকে গাজার যুদ্ধ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতে হবে। নিউইয়র্কে ফরাসি টেলিভিশন চ্যানেল বিএফএম-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ম্যাক্রোঁ বলেন, শুধুমাত্র ট্রাম্পেরই সেই ক্ষমতা রয়েছে – ইসরায়েলকে যুদ্ধ শেষ করার জন্য চাপ দেওয়ার। তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে কেবল একজনেরই

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ গত মঙ্গলবার বলেছেন, যদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সত্যিই নোবেল শান্তি পুরস্কার পেতে চান, তাহলে তাঁকে গাজার যুদ্ধ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতে হবে। নিউইয়র্কে ফরাসি টেলিভিশন চ্যানেল বিএফএম-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ম্যাক্রোঁ বলেন, শুধুমাত্র ট্রাম্পেরই সেই ক্ষমতা রয়েছে – ইসরায়েলকে যুদ্ধ শেষ করার জন্য চাপ দেওয়ার। তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে কেবল একজনেরই ক্ষমতা—তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট।’ আরো যোগ করে ম্যাক্রোঁ বললেন, ‘তিনি আমাদের চেয়ে বেশি কিছু করতে পারেন কারণ, আমরা এমন কোনো অস্ত্র সরবরাহ করি না যা গাজায় যুদ্ধ চালানোর কাজে ব্যবহৃত হয়। আমরা এমন কোনো সামগ্রী সরবরাহ করি না, যা গাজার সংঘাতে ব্যবহৃত হতে পারে। তবে যুক্তরাষ্ট্র তা করে।’ এই দিন ট্রাম্প জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সম্মেলনে কড়া ভাষায় উপস্থাপন করেন, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা স্বীকৃতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন এবং বলেন, এটি হামাসের জন্য পুরস্কার হবে। ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের অবিলম্বে গাজার যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে এবং শান্তি আলোচনাও শুরু করতে হবে।’ ট্রাম্পের এই বক্তব্যের ব্যাপারে ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘আমি দেখছি, একজন মার্কিন প্রেসিডেন্ট সক্রিয়ভাবে এই ক্ষেত্রে অবদান রাখছেন। আজ সকালেই তিনি বলেন, আমি শান্তি চাই এবং সাতটি সংঘাতের সমাধান করেছি। তিনি নোবেল শান্তিপুরস্কার চান। তবে এটি তখনই সম্ভব যখন আপনি এই গাজা যুদ্ধ বন্ধ করেন।’ এ বছর ক্যাম্পোডিয়া, ইসরায়েল, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশ ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছে। ট্রাম্প নিজেও মনে করেন, তিনি সেই যোগ্য ব্যক্তি, যাকে তার চারজন পূর্বসূরি প্রেসিডেন্টের মতো পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। তবে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র আনা কেলি বলেছেন, ‘যেসব ব্যক্তি জাতিসংঘে উপস্থিত ছিলেন, তারা দেখেছেন ট্রাম্প শান্তির জন্য একাই তাঁদের চেয়ে অনেক বেশি কাজ করেছেন। তিনি শুধু এই প্রেসিডেন্টই নন, তিনি কার্যত যুক্তরাষ্ট্রকে আবার শক্তিশালী করেছেন এবং বিশ্বে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে বেশ কিছু অর্জনও করেছেন।’

Staff Reporter
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos