বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) তার বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতির বিশদ তথ্য প্রকাশ করে অবশেষে জানালো, তার কোষাগারে মোট ১৩৯৮ কোটি টাকা রয়েছে। এই সংখ্যা আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে, যা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সূত্রে শোনা গেছে। বিদায়ী পরিচালনা পর্ষদ এই অর্থের সঙ্গে সব ধরনের এফডিআর, নগদ অর্থ এবং ব্যাংক ব্যালেন্স সংযুক্ত করে মোট এই পরিমাণ অর্থ রেখে
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) তার বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতির বিশদ তথ্য প্রকাশ করে অবশেষে জানালো, তার কোষাগারে মোট ১৩৯৮ কোটি টাকা রয়েছে। এই সংখ্যা আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে, যা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সূত্রে শোনা গেছে। বিদায়ী পরিচালনা পর্ষদ এই অর্থের সঙ্গে সব ধরনের এফডিআর, নগদ অর্থ এবং ব্যাংক ব্যালেন্স সংযুক্ত করে মোট এই পরিমাণ অর্থ রেখে যাচ্ছে।
২০২১ সালের জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে দায়িত্ব নেওয়া এই বোর্ডটি তিনজন সভাপতির অধীন কাজ করেছে। প্রথমে ছিলেন নাজমুল হাসান, যিনি তিনবারের জন্য সভাপতি নির্বাচিত ছিলেন। তবে গত বছর আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরে তিনি এই পদ থেকে সরে দাঁড়ান। এরপর ফারুক আহমেদ মাত্র ৯ মাস সভাপতি ছিলেন। সর্বশেষ, প্রায় চার মাস আগে, সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল বোর্ডের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। তিনি পরিকল্পনা অনুযায়ী গত সোমবার বিদায়ী বোর্ডের শেষ বৈঠক সম্পন্ন করেন।
এই বৈঠকটি দীর্ঘায়িত হয়, এটি বিষদভাবে অনুষ্ঠিত হয় রাত ৯টায় শুরু হয়ে মধ্যরাত পর্যন্ত চলে। মূল কারণ ছিল বিসিবি নির্বাচনের জন্য কাউন্সিলর অনুমোদনের সমস্যা, যা দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে সবচেয়ে আলোচিত বিষয়।
বৈঠকের শেষে মধ্যরাতে এক সংবাদ সম্মেলনে বোর্ডের পরিচালক ইফতেখার রহমান এই অর্থের স্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত অবহিত করেন। তিনি জানান, ‘আমরা মোট ১৩৯৮ কোটি টাকা রিজার্ভে রেখে যাচ্ছি। এর মধ্যে এফডিআর, ক্যাশ মানি, এবং ব্যাংক ব্যালেন্স—all মিলিয়ে এই পরিমাণ অর্থ রাখা হচ্ছে।’
বৈঠকে বিপিএল আয়োজনের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে বিপিএল হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও, বর্তমানে বোর্ডের নির্বাচন প্রক্রিয়া চলাকালীন কারণে তাতে কিছু বিলম্ব হচ্ছে। এখনও ফ্র্যাঞ্চাইজি নির্বাচনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।
সাথে, সামনের জাতীয় নির্বাচনের পরিস্থিতিও অনিশ্চিত। ইফতেখার রহমান জানান, ‘আমরা আশা করছি, ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে বিপিএল অনুষ্ঠিত হবে। তবে এই সিদ্ধান্ত এখনো চূড়ান্ত নয় এবং সেটি পরবর্তী বোর্ডের অধিরেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আমরা কিছু প্রস্তুতিমূলক কাজ এগিয়ে রাখছি, যাতে পরবর্তী বোর্ড এসে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে।’