২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপকে ঘিরে উত্তেজনার পারদ ক্রমশ বাড়ছে। এই মহারণের টিকিট কেনার জন্য শুরু থেকেই ব্যাপক উন্মাদনা দেখা যাচ্ছে। ফিফা সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, প্রথম ধাপের টিকিটের জন্য আবেদন করেছেন ৪৫ লাখেরও বেশি মানুষ। গত শুক্রবার প্রি-সেল পর্ব শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পর এই তথ্য প্রকাশিত হয় একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে। উল্লেখ্য, প্রথম ধাপে সবধরনের আবেদনকারীর জন্য
২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপকে ঘিরে উত্তেজনার পারদ ক্রমশ বাড়ছে। এই মহারণের টিকিট কেনার জন্য শুরু থেকেই ব্যাপক উন্মাদনা দেখা যাচ্ছে। ফিফা সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, প্রথম ধাপের টিকিটের জন্য আবেদন করেছেন ৪৫ লাখেরও বেশি মানুষ। গত শুক্রবার প্রি-সেল পর্ব শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পর এই তথ্য প্রকাশিত হয় একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে। উল্লেখ্য, প্রথম ধাপে সবধরনের আবেদনকারীর জন্য শর্ত ছিল যে তাদের বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর এবং ভিসা ও ক্রেডিট কার্ড থাকতে হবে। তবে এই আবেদনকারীদের মধ্যে বড় উৎসাহের বিষয় হলো, যুক্তরাষ্ট্র থেকে সর্বাধিক আবেদন জমা পড়েছে। পাশাপাশি, মেক্সিকো ও কনাডা থেকেও যথেষ্ট সংখ্যক মানুষ টিকিটের জন্য আবেদন করেছেন, যদিও ফিফা দেশের ভিত্তিতে আবেদনের পরিমাণ প্রকাশ করেনি। ৯ থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চালানো এই টিকিট বিক্রির জন্য আবেদন গ্রহণের সময়সীমা শেষ হওয়ার পরে, আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর ই-মেইলের মাধ্যমে ঘোষণা করা হবে কারা টিকিট নিশ্চিত করবে। তারপর, ১ অক্টোবর থেকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টিকিট সংগ্রহের সুযোগ পাবেন আবেদনকারীরা। এই বিশ্বকাপে মোট ১০৪টি ম্যাচের টিকিট বিক্রি হবে। গ্রুপ পর্বের ম্যাচের জন্য টিকিটের দাম শুরু হবে মাত্র ৬০ ডলার से। প্রত্যেকটি গ্রাহক এক ম্যাচের সর্বোচ্চ চারটি টিকিট কিনতে পারবেন, আর পুরো টুর্নামেন্টের মধ্যে ৪০টির বেশি টিকিট কেনা যাবে না। ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো বলেছেন, ‘এই সংখ্যাগুলো শুধু চমকপ্রদ নয়; বরং প্রমাণ করে পুরো বিশ্ব এখন ফিফা বিশ্বকাপ ২০২৬ এ অংশ নেওয়ার জন্য আগ্রহী। এটি হবে ইতিহাসের সবচেয়ে বড়, সর্বব্যাপী এবং রোমাঞ্চকর আয়োজন। কানাডা, মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের নানা দেশ থেকে ফুটবলপ্রেমীরা আবারও প্রমাণ করে দিলেন, ফুটবলের জন্য মানুষের আবেগই তাদেরকে একত্রিত করে। সবাই এখন তিন দেশের ম্যাচ দেখার জন্য মুখিয়ে আছেন।’