নতুন ইতিহাস রচনা করল কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপি। দীর্ঘ নয় বছর পর ইতিবাচক পরিবর্তনের прতীক হিসেবে শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত হয় তার ত্রিবার্ষিক সম্মেলন। এই সম্মেলনে কাউন্সিলরদের ভোটে বিপুল সংখ্যক ভোটের ব্যবধানে সভাপতি পদে মোঃ শরীফুল আলম এবং সাধারণ সম্পাদক পদে মাজহারুল ইসলাম নির্বাচিত হন। দুজনই আগে থেকে দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্বে ছিলেন, যা নতুন নেতৃত্বের প্রতি
নতুন ইতিহাস রচনা করল কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপি। দীর্ঘ নয় বছর পর ইতিবাচক পরিবর্তনের прতীক হিসেবে শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত হয় তার ত্রিবার্ষিক সম্মেলন। এই সম্মেলনে কাউন্সিলরদের ভোটে বিপুল সংখ্যক ভোটের ব্যবধানে সভাপতি পদে মোঃ শরীফুল আলম এবং সাধারণ সম্পাদক পদে মাজহারুল ইসলাম নির্বাচিত হন। দুজনই আগে থেকে দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্বে ছিলেন, যা নতুন নেতৃত্বের প্রতি দলের আস্থা ও সাফল্যের আভাস দেয়।
সন্ধ্যায় এই ফলাফল ঘোষণা করেন জাতীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল। সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সঙ্গে ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। কর্মসূচির মধ্যে ছিল সূর্যোদয়ের সময় জাতীয় সংগীতের পাঠ এবং পতাকা উত্তোলন, যা দলের ঐক্য ও গর্বের প্রতীক।
ভোট গণনা শেষে দেখা যায়, সভাপতি পদে মোঃ শরীফুল আলম প্রাপ্ত ভোট ১,৫২২, যেখানে তার প্রতিদ্বন্দ্বী রুহুল হোসাইন পান ১৯৭ ভোট। বাতিল হয় ১২০ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে মাজহারুল ইসলাম পান ১,১৫৯ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল, যিনি পান ৬১১ ভোট। অন্য দুজন প্রার্থী শফিকুল আলম রাজন ও সাজ্জাদুল হক পেয়েছেন যথাক্রমে ৩০ এবং ৭ ভোট। বাতিল হয় ৩৩ ভোট।
উল্লেখ্য, জেলায় ১৩টি উপজেলা ও ৮টি পৌরসভার মোট ২ হাজার ৯০ জন কাউন্সিলর এই ভোটে অংশ নেন।
উল্লেখ্য, এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনের পূর্বেও ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল দলের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন, যেখানে মোঃ শরীফুল আলমকে সভাপতি ও মাজহারুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। এই সময় সম্মেলনের মূল অতিথি ছিলেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, তবে বক্তৃতার পর সম্মেলন শেষ হয়ে যায়। তারপর তিন সপ্তাহ পরে কেন্দ্র থেকে নতুন নেতৃত্বের ঘোষণা দেওয়া হয়, যা দলের অভ্যন্তরীন গণতন্ত্রের সাফল্য ও দলের অঙ্গীকারের প্রতিফলন।
