স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান কেবল একটি সাধারণ আন্দোলন নয়, এটি অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রাম এবং সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার এক মহৎ প্রচেষ্টা। এটি দেশের মানুষের প্রত্যাশাকে একত্র করে নতুন এক দিগন্তের পথ দেখিয়েছে। শনিবার বিকালে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে অংকিত ঐতিহাসিক গ্রাফিতি ‘জুলাই বীরত্ব ও জুলাই
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান কেবল একটি সাধারণ আন্দোলন নয়, এটি অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রাম এবং সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার এক মহৎ প্রচেষ্টা। এটি দেশের মানুষের প্রত্যাশাকে একত্র করে নতুন এক দিগন্তের পথ দেখিয়েছে। শনিবার বিকালে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে অংকিত ঐতিহাসিক গ্রাফিতি ‘জুলাই বীরত্ব ও জুলাই আত্মত্যাগ’এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, জুলাইয়ে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানের চেতনা, আত্মবিশ্বাস ও বীরত্বের ঝঞ্জা তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। এই আন্দোলনের মূল ধারণা ধারণ করে তরুণরা সত্য, ন্যায়, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের মৌলিক মূলনীতিতে উদ্দীপ্ত হবে।
উল্লেখ্য, দেশের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তে এই গ্রাফিতি আঁকা হয়েছে দেশের ইতিহাস-स্মৃতি সংরক্ষণ ও তরুণ প্রজন্মকে উৎসাহিত করার জন্য। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রাণালয় এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে এই বীরত্বগাঁথা পৌঁছে যায়।
তিনি আরও বলেন, ২০২৫ সালে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি ও তরুণদের উৎসব হিসেবে উদযাপনের জন্য এই ধরণের শিল্পকর্ম গুরুত্বপূর্ণ। এই গ্রাফিতি আমাদের মনে করিয়ে দেবে, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য তরুণ সমাজের আত্মত্যাগের মূল্য।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম, সেতু বিভাগের সচিব মোহাম্মদ আব্দুর রউফ, মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত, শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক তাহাসিনা বেগম, মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার, শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলাম ও ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক প্রমুখ।