সপ্তাহের মধ্যে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করে দায়িত্ব থেকে মুক্তি চাচ্ছেন নেপালের অন্তর্বতীকালীন প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কি। তিনি প্রথমবারের মতো বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই পরিকল্পনা ব্যক্ত করেছেন। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, আগামী ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হবে এবং সেই সময়ের মধ্যে সব কর্মসূচি সম্পন্ন করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। প্রধানমন্ত্রী কার্কি বলছেন, তিনি ১৮ ঘণ্টা দিনরাত পরিশ্রম করে
সপ্তাহের মধ্যে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করে দায়িত্ব থেকে মুক্তি চাচ্ছেন নেপালের অন্তর্বতীকালীন প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কি। তিনি প্রথমবারের মতো বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই পরিকল্পনা ব্যক্ত করেছেন। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, আগামী ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হবে এবং সেই সময়ের মধ্যে সব কর্মসূচি সম্পন্ন করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
প্রধানমন্ত্রী কার্কি বলছেন, তিনি ১৮ ঘণ্টা দিনরাত পরিশ্রম করে ভোটার তালিকা হালনাগাদসহ নির্বাচন পরিচালনার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করবেন। তার উদ্দেশ্য, এই ছয় মাসে সব কাজ শেষ করে, তিনি ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন এবং মুক্ত হবেন।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য একটি কমিশন গঠনের পরিকল্পনা আছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রথমে একটি মন্ত্রীসভার কমিটি গঠন করবেন, যেখানে ১০ থেকে ১১জন সদস্য থাকবেন। এই তদন্তের মাধ্যমে দুর্নীতির প্রকৃতি বোঝা যাবে এবং ভবিষ্যৎ সরকার এই কাজ চালিয়ে নেবে। তিনি আরো জানান, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি, কারণ আর তদন্তের ছাড়া এই জাতি শান্তিপূর্ণ থাকবে না।
জেনজি-র আন্দোলনের সময়ই বিভিন্ন সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে, এ বিষয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিশন গঠনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। তিনি বলেন, এই তদন্ত আগামী এক থেকে এক মাসের মধ্যে শেষ হয়েচে এবং তিনজন বিশেষজ্ঞ এই কাজ পরিচালনা করবেন।
মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ নিয়েও আলোচনা চলছে, যেখানে নতুন সদস্য হিসেবে আদিবাসী, দলিত, নারীবিশেষ এবং অনগ্রসর শ্রেণির লোকদের নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে। প্রেসিডেন্ট ও দলীয় নেতাদের পরামর্শকে গুরুত্ব দিয়ে, তিনি জানিয়েছেন, রাজনৈতিক দল থেকে প্রার্থী নেওয়ার পরিবর্তে অরাজনৈতিক ও স্বতন্ত্র ব্যক্তিদেরই কেবিনেটে স্থান দেবেন তারা। তিনি মনে করেন, এতে ভোটের দিন অপব্যবহার বা স্বজনপোষণের সুযোগ কমবে।
সুশীলা কার্কি জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর উপPROrাম নেয়া না হলেও, তাদের কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। মাঠ পর্যায়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তারা, যাতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পরে একটি সুষ্ঠু সংসদ গঠন হয়।
নতুন সরকার গঠনের জন্য কিছু গোষ্ঠী ইতিমধ্যে তাদের প্রস্তাব দিয়েছিল, তবে তারা মানছে না যে, এই প্রক্রিয়ায় তারা বিরোধিতা করছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় তিনি বলেছেন, তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন, অপূর্ণতা থাকলেও ভবিষ্যত সরকারের দায়িত্ব থাকবে সব ঠিকভাবে সম্পন্ন করার। তিনি আরও জানিয়েছেন, ছাত্রদের হত্যার ঘটনায় উচ্ছৃঙ্খলতা বা দুর্নীতির মতো বিষয়গুলো বলিষ্ঠভাবে মোকাবিলা করবেন তারা এবং দেশের শান্তি, উন্নয়ন ও সুশাসন ফিরিয়ে আনতে সচেষ্ট থাকবেন।