ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান সংঘাতে নতুন করে উত্তেজনা বাড়তে থাকায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি কঠোর সতর্কবার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেন, যদি হামাস যুদ্ধবিরতির জন্য নির্ধারিত শর্তগুলো মানে, তবে ঠিক কী কী শর্ত রয়েছে তা স্পষ্ট করেননি। তবে তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, যদি না তা মানা হয়, তাহলে কী ধরনের পরিণতি অপেক্ষা করছে, তা নিয়ে তিনি আরও
ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান সংঘাতে নতুন করে উত্তেজনা বাড়তে থাকায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি কঠোর সতর্কবার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেন, যদি হামাস যুদ্ধবিরতির জন্য নির্ধারিত শর্তগুলো মানে, তবে ঠিক কী কী শর্ত রয়েছে তা স্পষ্ট করেননি। তবে তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, যদি না তা মানা হয়, তাহলে কী ধরনের পরিণতি অপেক্ষা করছে, তা নিয়ে তিনি আরও একবার ভয়ঙ্কর সতর্কতা জারী করেছেন। ট্রাম্পের এই হুঁশিয়ারির পর হামাস বলেছে, তারা দ্রুত আলোচনা টেবিলে বসতে প্রস্তুত। গাজায় ২৩ মাসের বেশি সময় ধরে চলমান এই সংঘাতে ইতিমধ্যে ইসরায়েল হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। এর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে যুদ্ধবিরতির জন্য আলোচনাও হয়েছে। সর্বশেষ জানানো হয়, হামাসের পক্ষ থেকে তারা যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে সমস্ত বন্দি জিম্মিকে মুক্তি দিতে রাজি, তবে ইসরায়েল পরে আরও কিছু শর্ত জুড়ে দেয়, যেমন অস্ত্রসমর্পণ। এর ফলে এই আলোচনা অচল হয়ে পড়ে। এর মধ্যে গত রোববার ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশাল-এ ঘোষণা দেন, ইসরায়েলি শর্তগুলো তিনি মানতে বাধ্য হয়েছেন। তিনি আরও বলছেন, এখন হামাসেরও উচিত সেই শর্তগুলো মেনে নেওয়া। না হলে খুবই গুরুতর পরিণতি হবে, বলে তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন। তবে ট্রাম্প এই মুহূর্তে যুদ্ধবিরতির জন্য নির্দিষ্ট শর্তগুলো কি, তা এখনও স্পষ্ট করেননি। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইসরায়েল এই শর্তগুলো মানেছে। তবে গাজায় ইসরায়েলের হামলা কমেনি, বরং বেড়েই চলছে। গত মাস থেকে গাজা জায়গায় ব্যাপক অভিযান চালাচ্ছেন ইসরায়েলি সেনারা। সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ট্রাম্পের প্রস্তাব অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতির প্রথম দিনেই বন্দি সব জিম্মি মুক্তি পাবে। এর বিনিময়ে, ইসরায়েলি কারাগারে অধিষ্ঠিত হাজার হাজার ফিলিস্তিনি মুক্তি পাবে। যুদ্ধকালীন সময়ে গাজায় ব্যাপক হামলা বন্ধ থাকবে বলেও পরিকল্পনা রয়েছে। ট্রাম্পের তত্ত্বাবধানে সংঘাত পুরোপুরি বন্ধের জন্য আলোচনা চালানো হবে। ইসরায়েলের তথ্য অনুযায়ী, গাজায় বর্তমানে ৫০ জন জিম্মি রয়েছে, এর মধ্যে ২০ জন সংগ্রহ করা হয় ছবি বা তথ্য অনুযায়ী জীবিত। ট্রাম্পের এই প্রস্তাবের বিষয়টি এখনও ইসরায়েল আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেনি। তবে হামাসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তারা ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে আগ্রাসন বন্ধের পরিস্থিতি স্বাগত জানায়, এবং দ্রুত আলাপ আলোচনার জন্য প্রস্তুত। হামাস বলেছে, গাজায় বন্দি সব ইসরায়েলি সৈনিকদের মুক্তি দিতে হবে, এবং এর বিনিময়ে গাজায় হামলা ও ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধের জন্য স্পষ্ট ঘোষণা দিতে হবে। সবার জন্য, গাজা থেকে সব ইসরায়েলি সেনা সরিয়ে নেওয়া এবং এক স্বাধীন ফিলিস্তিন নেতৃত্বাধীন কমিটি গঠন করতে হবে, যারা সংঘাত শেষ হওয়ার পর দ্রুত গাজার শাসন পরিচালনা সামলাতে পারবে। এর আগে ট্রাম্প বিভিন্ন সময় হামাসকে হুমকি দিয়েছেন, এবং কয়েক বার সংঘাত দ্রুত শেষ হবে বলে আশ্বাসও দিয়েছেন। গত ২৫ আগস্ট তিনি বলেছিলেন, তিন সপ্তাহের মধ্যে এই সংঘাত চূড়ান্তভাবে সমাধান হবে। এর পাশাপাশি তিনি মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন মালিকানায় একটি বিনোদন কেন্দ্র তৈরির পরিকল্পনা নিয়েও কথা বলেছেন, যা গাজা পরিস্থিতির ভবিষ্যত উন্নয়নের অংশ হতে পারবে।