ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে রীতিমতো বৈচিত্র্য দেখা গেছে। ১২টি সম্পাদকীয় পদের মধ্যে ৯টিতে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্রার্থীরা জয় লাভ করেছেন, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতিতে এক বিস্ময়কর পরিবর্তন। বাকি তিনটি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন, যার ফলে নির্বাচনের ধারা কিছুটা পরিবর্তিত হয়েছে। নির্বাচনে মোট ২৮টি পদ রয়েছে, যার মধ্যে ভিপি, জিএস, এজিএস ও অন্যান্য পদ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে রীতিমতো বৈচিত্র্য দেখা গেছে। ১২টি সম্পাদকীয় পদের মধ্যে ৯টিতে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্রার্থীরা জয় লাভ করেছেন, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতিতে এক বিস্ময়কর পরিবর্তন। বাকি তিনটি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন, যার ফলে নির্বাচনের ধারা কিছুটা পরিবর্তিত হয়েছে।
নির্বাচনে মোট ২৮টি পদ রয়েছে, যার মধ্যে ভিপি, জিএস, এজিএস ও অন্যান্য পদ রয়েছে। এছাড়া রয়েছে ১৩টি সদস্য পদ। নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল বুধবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট ভবনে নির্বাচনি কমিশন থেকে ঘোষণা করা হয়।
প্রথমত, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন—
– সহ-সভাপতি (ভিপি): আবু সাদিক কায়েম
– সাধারণ সম্পাদক (জিএস): এস এম ফরহাদ
– সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস): মুহা মহিউদ্দীন খান
– মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক: ফাতেমা তাসনিম জুমা
– বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক: ইকবাল হায়দার
– কমন রুম রিডিং রুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক: উম্মে ছালমা
– আন্তর্জাতিক সম্পাদক: জসীমউদ্দিন খান
– সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক: মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ (স্বতন্ত্র)
– গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক: সানজিদা আহমেদ তন্বি (স্বতন্ত্র)
– ক্রীড়া সম্পাদক: আরমান হোসেন
– ছাত্র পরিবহন সম্পাদক: আসিফ আব্দুল্লাহ
– সমাজসেবা সম্পাদক: যুবাইর বিন নেছারী (স্বতন্ত্র)
– ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক: মাজহারুল ইসলাম
– স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক: এম এম আল মিনহাজ
– মানবাধিকার ও আইন বিষয়ক সম্পাদক: মো. জাকারিয়া
নির্বাচনে ছাত্রশিবিরের এই অপ্রত্যাশিত সাফল্য বিভিন্ন দল ও মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। এটি অবশ্যই বোঝায় যে, বিশ্ববিদ্যালয় রাজনীতিতে পরিবর্তন ও নতুন চ্যালেঞ্জ এসে গেছে, যা ভবিষ্যতের রাজনীতি ও তরুণ প্রজন্মের মনোভাবকে প্রভাবিত করবে।