মোদি আমলেই ভারতের গরুর মাংস রপ্তানি বিশ্ব benchmarks ছাড়িয়াছে

মোদি আমলেই ভারতের গরুর মাংস রপ্তানি বিশ্ব benchmarks ছাড়িয়াছে

ক্ষমতায় আসার আগে ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কংগ্রেস সরকারের সময় গরুর মাংস রপ্তানির বিরুদ্ধে ব্যাপক সমালোচনা ও বাণী শোনাতেন। তিনি এই খাতের প্রতি অতিবৈরিতার প্রতীক হিসেবে ব্যঙ্গ করে বলেছিলেন যে, কংগ্রেস সরকার দেশের ১৪ শতাংশ মুসলমানকে খুশি করতে গরুর মাংস রপ্তানিকে উৎসাহ দিয়েছে। তবে, বাস্তবতা অন্যরকম। মোদির নেতৃত্বে ভারতের গরু ও মহিষের মাংস রপ্তানি

ক্ষমতায় আসার আগে ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কংগ্রেস সরকারের সময় গরুর মাংস রপ্তানির বিরুদ্ধে ব্যাপক সমালোচনা ও বাণী শোনাতেন। তিনি এই খাতের প্রতি অতিবৈরিতার প্রতীক হিসেবে ব্যঙ্গ করে বলেছিলেন যে, কংগ্রেস সরকার দেশের ১৪ শতাংশ মুসলমানকে খুশি করতে গরুর মাংস রপ্তানিকে উৎসাহ দিয়েছে। তবে, বাস্তবতা অন্যরকম। মোদির নেতৃত্বে ভারতের গরু ও মহিষের মাংস রপ্তানি অনেক বেড়েছে, যেন নতুন করে ফুলেফেঁপে উঠেছে এই খাত। গত কয়েক বছরে এই খাতে ভারতের আয় দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪৩০ কোটি মার্কিন ডলার, যেখানে প্রতিবছর প্রায় ১৫ লাখ ৩০ হাজার টন মাংস রপ্তানি হয়। hierdoor, ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মাংস রপ্তানিকারক হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। শীর্ষে রয়েছে ব্রাজিল, আর এরপরেই রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।

ভারতে গরু জবাইয়ের জন্য বিভিন্ন রাজ্য নিজের নিয়ম-কানুন চালু করলেও, কোনো একটি কেন্দ্রীয় জাতীয় আইন নেই। এর ফলে, ব্যবসায়ীরা তুলনামূলক শিথিল বিধি-নিষেধ থাকা রাজ্যগুলো থেকে গরু পাচার করে মাংস রপ্তানি করে থাকেন। সমালোচকদের মতে, এই খাতে রাজনীতির প্রতিশ্রুতির চেয়ে ব্যावহারিক অর্থনৈতিক বাস্তবতা বেশি বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে।

বলা হয়, যদিও বেশিরভাগ সময় ভারতের মাংস রপ্তানির বড় অংশ মহিষের, তবে নানা মত প্রকাশ হচ্ছে যে, গরুর মাংসের পরিমাণও খুব বেশি নয়। বর্তমানে ভারতের মধ্যে প্রায় ১১ কোটি ৫০ লাখ মহিষ রয়েছে, যা বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি। অন্যদিকে, গরুর সংখ্যা প্রায় ৭ কোটি ৬০ লাখের বেশি। ভারত বিশ্বের সর্ববৃহৎ দুধ উৎপাদনকারী দেশ, আর দুধের শেষ পর্যায়ে অনেক গরু চামড়া ও মাংস শিল্পে ব্যবহৃত হয়, ফলে এই খাতের মাধ্যমে ভারতের বৈদেশিক রপ্তানি আয় আরও বাড়ছে।

ভারত বর্তমানে ৬৫টি দেশে নিজেদের মাংস পণ্য রপ্তানি করছে। উপসাগরীয় অঞ্চলের তেলসমৃদ্ধ দেশগুলোতে এই মাংসের চাহিদা ব্যাপক, কারণ এসব মাংস ব্লুটুথ চারণভূমিতে লালিত গরু-মহারু থেকে আসে যা স্বাস্থ্যসম্মত বলা হয়। তদ্ব্যতীত, ভারতের বিক্রয় মূল্য কখনো কখনো ব্রাজিল বা অস্ট্রেলিয়ার তুলনায় কম হওয়ায় বিশ্ববাজারে ভারতের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান শক্তিশালী হচ্ছে।

অর্থনৈতিক লাভের কারণে হিন্দু ব্যবসায়ীরাও এই খাতে ব্যাপকভাবে প্রবেশ করছেন। শীর্ষ ছয় রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চারটির মালিক হিন্দু উদ্যোক্তা, যেমন শতীশ ও অতুল সাবরওয়ালের আল-কাবির এক্সপোর্টস, সুনীল কাপুরের অ্যারাবিয়ান এক্সপোর্টস, মাদান অ্যাবটের এম.কে.আর ফ্রোজেন ফুড এক্সপোর্টস ও এ.এস. বিন্দ্রার পি.এম.এল ইন্ডাস্ট্রিজ। এই দৃষ্টান্তমূলক অংক দেখায় যে, ধর্মীয় বিভাজন থাকা সত্ত্বেও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য অনেক হিন্দু ব্যবসায়ী এই শিল্পের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছেন।

আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ভারতের সব মাংসের উপর হালাল সার্টিফিকেশন দেওয়া হলেও, দেশের মধ্যে বিজেপি সরকার দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে হালাল সার্টিফিকেশন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এর ফলে, আন্তর্জাতিক বাজারে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোকে লক্ষ্য করে হালাল মান বজায় থাকলেও, দেশের ভেতরে ভিন্ন নীতিতে কাজ চালানো হচ্ছে।

সবমিলিয়ে, মোদির শাসনকালে এই শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যেখানে আগে এই খাতকে অনেকে কটাক্ষ করতেন, সেখানে এখন তা রেকর্ড পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার আয় করছে। এর ফলে ভারতের অর্থনীতি শক্তিশালী হচ্ছে এবং বৈশ্বিক মাংস বাজারে দেশের স্থান আরো দৃঢ় হচ্ছে।

Staff Reporter
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos