ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা শহরে চলমান সংঘর্ষের মধ্যে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি পরিবারের আবাসিক ভবনে বিমান হামলা চালিয়েছে। এই হামলা নতুন করে জোরদার উচ্ছেদের হুমকির পর শনিবার ভোর থেকে শুরু হয় এবং পুরো দিন জুড়ে গাজার উত্তরাঞ্চলে বিভিন্ন বাড়িঘর লক্ষ্য করে প্রাণঘাতী আক্রমণ অব্যাহত থাকে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টার এই অভিযানে কমপক্ষে ৬৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা শহরে চলমান সংঘর্ষের মধ্যে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি পরিবারের আবাসিক ভবনে বিমান হামলা চালিয়েছে। এই হামলা নতুন করে জোরদার উচ্ছেদের হুমকির পর শনিবার ভোর থেকে শুরু হয় এবং পুরো দিন জুড়ে গাজার উত্তরাঞ্চলে বিভিন্ন বাড়িঘর লক্ষ্য করে প্রাণঘাতী আক্রমণ অব্যাহত থাকে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টার এই অভিযানে কমপক্ষে ৬৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে অনেকেই অসহায় সাহায্যপ্রার্থীর মতো সাধারণ মানুষও ছিলেন। যুদ্ধের শুরু থেকে এই পর্যন্ত গাজায় মোট ৬৪,৩৬৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ১ লাখ ৬২ হাজার ৩৬৭ জন। স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে, হাজার হাজার মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন। ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক হামলায় ইসরায়েলে ১,১৩৯ জন নিহত হন এবং Nearly ২০০ জনকে অপহরণ করা হয়। এরপর ১৮ মার্চ থেকে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি ভেঙে গাজায় আবারও হোটা শুরু করে, যার ফলে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ১১,৭৬৮ এবং আহতের সংখ্যা ৪৯,৯৬৪। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গত বছর নভেম্বরে গাজার যুদ্ধাপরাধের জন্য ইসরায়েলি নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে, একইসঙ্গে গাজায় ইসরায়েলের অভিযান ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য দেশটি আন্তর্জাতিক বিচারালয়ে অভিযুক্ত। ফিলিস্তিনি সংগঠন ইসলামিক জিহাদ গাজা থেকে দক্ষিণ ইসরায়েলের নেটিভোট শহরে দুটি রকেট নিক্ষেপের দায় স্বীকার করেছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘আয়রন ডোম’ একটি রকেট আটকে দিতে সক্ষম হয়, অন্যটি খোলা জায়গায় পড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গাজায় তীব্র অবরোধ ও জোরপূর্বক উচ্ছেদ চালানোর সময়সীমার মধ্যে এই ধরনের হামলা জোরদার করার চেষ্টা করছে প্রতিরোধ সংগঠনগুলো। এদিকে, গাজায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮৭ এ, যার মধ্যে শিশু সংখ্যাই ১৩৮। অন্যদিকে গাজা থেকে ইসরায়েলে ছোড়া দুটি রকেটের ঘটনাও ঘটেছে, যার মধ্যে একটি আরপ্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘আয়রন ডোম’ দ্বারা প্রতিহত করা হয়েছে, অন্যটি খোলা জায়গায় পড়েছে। ফিলিস্তিনি সংগঠন আল-কুদস ব্রিগেড এর দায় স্বীকার করেছে। পাশাপাশি গাজা শহরের দ্বিতীয় বৃহত্তম বহুতল ভবনটি ইসরায়েলি সেনা দ্বারা বিধ্বস্ত করা হয়েছে, যা চলমান সংঘর্ষের মধ্যে প্রথম বড় ভবন ভেঙে ফেলার ঘটনা। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নিজ এক্স (টুইটার) পোস্টে একটি ভিডিও শেয়ার করে বলেছেন, ‘আমরা আঘাত চালিয়ে যাচ্ছি।’ সূত্র জানিয়েছে, গাজায় সামরিক অভিযান আরও জোরদার করা হয়েছে, যেখানে দাবি করা হয়েছে যে, হামাস এই ভবনগুলো ব্যবহার করছিল, যেটি হামাস অস্বীকার করেছে। অবশ্য হতাহতের সঠিক সংখ্যা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। রোববার, গাজায় তীব্র সংঘর্ষের মধ্যে ইসরায়েল য় সামরিক ও দুর্বিনীত আক্রমণে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। গাজা সিটির দ্বিতীয় বৃহত্তম ভবনটি গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, যা প্রথম বড় টাওয়ার ভেঙে ফেলার ঘটনা। এই চলমান সংঘর্ষের প্রেক্ষাপটে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী গাজা থেকে হামাসকে আত্মসমর্পণের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। রোববার তিনি জেরুজালেমে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘যদি হামাস সব জিম্মি মুক্ত করে এবং অস্ত্রের অবসান ঘটায়, তাহলে যুদ্ধ দ্রুত শেষ হয়ে যাবে।’ এদিকে, হামাসের প্রতিক্রিয়ায় বাসেম নাইম বলছেন, তারা অস্ত্র সমর্পণ করবে না, তবে সব জিম্মি মুক্ত করার জন্য প্রস্তুত, যদি ইসরায়েল যুদ্ধ বন্ধ করে এবং গাজা থেকে সব সেনা প্রত্যাহার করে। গত মাসে ইসরায়েল গাজার মূল শহর দখলের জন্য ব্যাপক অভিযান চালায় এবং বর্তমানে গাজা সিটির কেন্দ্রে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে।