ফাইনাল হারের পরে অপ্রাপ্তি ও অনুতাপের গল্প সুয়ারেজের

ফাইনাল হারের পরে অপ্রাপ্তি ও অনুতাপের গল্প সুয়ারেজের

লিগস কাপ ফাইনালে সিয়াটল সাউন্ডার্সের কাছে পরাজিত হয়েছিল ইন্টার মায়ামি, যেখানে গুরুত্বপূর্ণ দলের তারকা খেলোয়াড় লিওনেল মেসি ও লুইস সুয়ারেজ ছিলেন। ফাইনাল শেষে সে ম্যাচের উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে সুয়ারেজ এক কর্মীর দিকে থুতু ছুড়ে দেওয়ার মানসিকতা প্রকাশ করেছিলেন। এই ঘটনাটির জন্য গত বৃহস্পতিবার ইনস্টাগ্রামে তিনি দুঃখ প্রকাশ করে এক বিবৃতি দেন। ৩৮ বছর বয়সী উরুগুইয়ান তারকা

লিগস কাপ ফাইনালে সিয়াটল সাউন্ডার্সের কাছে পরাজিত হয়েছিল ইন্টার মায়ামি, যেখানে গুরুত্বপূর্ণ দলের তারকা খেলোয়াড় লিওনেল মেসি ও লুইস সুয়ারেজ ছিলেন। ফাইনাল শেষে সে ম্যাচের উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে সুয়ারেজ এক কর্মীর দিকে থুতু ছুড়ে দেওয়ার মানসিকতা প্রকাশ করেছিলেন। এই ঘটনাটির জন্য গত বৃহস্পতিবার ইনস্টাগ্রামে তিনি দুঃখ প্রকাশ করে এক বিবৃতি দেন। ৩৮ বছর বয়সী উরুগুইয়ান তারকা লিখেছেন, ‘এটা ছিল একদম অপ্রত্যাশিত ও হতাশাজনক মুহূর্ত। ম্যাচের পর কিছু অপ্রয়োজনীয় ঘটনা ঘটে যা হওয়া উচিত ছিল না। কিন্তু এই মুহূর্তে আমার প্রতিক্রিয়াকে সমর্থন করা যায় না। আমি ভুল করেছি, এর জন্য আমি আন্তরিকভাবে অনুতপ্ত।’ লুমেন ফিল্ডে সাউন্ডার্সের কাছে ৩-০ গোলে হারের পর, ম্যাচের শেষ মুহূর্তে সুয়ারেজ সিয়াটলের তরুণ মিডফিল্ডার ওবেড ভার্গাসের মাথায় হাত ঠেকানোর সময়, উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তারপর, ক্যামেরায় ধরা পড়ে, সুয়ারেজ মাঠ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সিয়াটলের এক নিরাপত্তা কর্মীর দিকে থুতু ছুড়ে দেন। সুয়ারেজ নিজে বলেছেন, ‘আমি ঘটনার জন্য অনেক খারাপ অনুভব করছি। আমি চাইনি এই ঘটনাটি ঘটুক। আমি সকলের কাছে ক্ষমা চাই যারা আমার কারণে কষ্ট পেয়েছেন।’ তবে এই ঘটনাকে পেছনে ফেলতে চেয়েছেন তিনি, বলে জানান, ‘আমরা এখনো মৌসুমের বেশ কিছু অংশ খেলছি এবং আমাদের লক্ষ্য, ক্লাব এবং সমর্থকদের জন্য সাফল্য এনে দেওয়া।’ ইন্টার মায়ামি একটি বিবৃতিতে জানায়, ‘এ ধরনের আচরণ আমাদের খেলাধুলার মূল মূল্যবোধের সাথে একেবারেই যায় না। মাঠের বাইরে ও মাঠে সর্বোচ্চ ক্রীড়াসুলভ মান বজায় রাখতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ ঘটনার পরে শাস্তি হয় কি না তা নিয়ে আলোচনা চলছে। সুয়ারেজকে তার ক্যারিয়ারে নানা ধরণের শাস্তি পেয়েছেন। ২০১৪ বিশ্বকাপে, ইতালির জর্জিও কিয়েলিনিকে কামড় দেওয়ার জন্য চার মাসের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। তাছাড়া, ক্লাব ফুটবলে তিনি কামড়ের জন্য শাস্তি পেয়েছেন। ২০১১ সালে, ইংল্যান্ডের প্যাট্রিস এভরাকে বর্ণবাদী গালি দেওয়ার অভিযোগেও আট ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিল। আরো বিতর্কের মধ্যে ছিল ২০১০ দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে, যেখানে ঘানার বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে তার ইচ্ছাকৃত হাতে বল ঠেকানোর ঘটনাও ছিল।

Staff Reporter
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos