নেতানিয়াহু পশ্চিম তীরের বিষয় নিয়ে শীর্ষ বৈঠক ডাকলেন

নেতানিয়াহু পশ্চিম তীরের বিষয় নিয়ে শীর্ষ বৈঠক ডাকলেন

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বৃহস্পতিবার পশ্চিম তীরের ভবিষ্যৎ ও পরিস্থিতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার জন্য এক শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠক ডেকেছেন। দ্য টাইমস অফ ইসরায়েলি এক报道ে জানানো হয়, স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এতে নেতানিয়াহু পশ্চিম তীরের বর্তমান পরিস্থিতি মূল্যায়ন করবেন এবং সেখানে সম্ভাব্য আগামীতের পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করবেন। তথ্য অনুসারে, নেতানিয়াহু পশ্চিম তীরের

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বৃহস্পতিবার পশ্চিম তীরের ভবিষ্যৎ ও পরিস্থিতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার জন্য এক শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠক ডেকেছেন। দ্য টাইমস অফ ইসরায়েলি এক报道ে জানানো হয়, স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এতে নেতানিয়াহু পশ্চিম তীরের বর্তমান পরিস্থিতি মূল্যায়ন করবেন এবং সেখানে সম্ভাব্য আগামীতের পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করবেন।

তথ্য অনুসারে, নেতানিয়াহু পশ্চিম তীরের কিছু অংশে ইসরায়েলের সার্বভৌমত্ত্ব কার্যকর করার পরিকল্পনা আলোচনা করবেন। এই আলোচনায় তিনি শীর্ষ মন্ত্রী ও নির্ভরযোগ্য উপদেষ্টাদের মতামত শুনবেন এবং ভবিষ্যত কর্মসূচি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। এই বৈঠকে অর্থমন্ত্রী বাজেল এল স্মোট্রিচও উপস্থিত থাকবেন। এক প্রস্তাবে তিনি পশ্চিম তীরের ৮২ শতাংশ অঞ্চলকে ইসরায়েলের সঙ্গে সংযুক্ত করার পরিকল্পনার বিষয়টি প্রকাশ করেন।

অগাষ্টে, নেসেট পার্লামেন্ট ৭১-১৩ ভোটে পশ্চিম তীরের সংযুক্তির প্রস্তাব অনুমোদন করেছে, যা এখন বাস্তবায়নের পথে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর ফলে, দখলদার বাহিনী এই পরিকল্পনাকে কার্যকর করতে পারে। তবে, ইসরায়েলি কর্মকর্তারা এই বৈঠকের খবর অস্বীকার করে বলেছেন, এটি এখনো আনুষ্ঠানিক এজেন্ডায় নেই।

অবশ্য মধ্যপ্রাচ্যের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মহলেও এই পরিকল্পনা নিয়ে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। আমিরাতের জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক লানা নুসাইবেহ বলেছেন, পশ্চিম তীর দখল তাদের জন্য ‘রেড লাইন’। তিনি আরও বলেছিলেন, আব্রাহাম চুক্তির মূল উদ্দেশ্য হলো ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায্য অধিকার ও স্বাধীনতাকে সমর্থন করা। পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের কোন ধরনের সম্প্রসারণ বা দখলের চেষ্টা তাদের জন্য এই চুক্তির মূল চেতনাকে লঙ্ঘন করবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, স্মোট্রিচের দ্বারা দেখানো মানচিত্র অনুযায়ী, পশ্চিম তীরের প্রায় ৮২ শতাংশ এলাকা ইসরায়েলি সার্বভৌমত্বের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে। অপরদিকে, মাত্র ১৮ শতাংশ এলাকা ফিলিস্তিনি শহরগুলো—জেনিন, তুলকারেম, নাবলুস, রামাল্লাহ, জেরিহো ও হেবরন—অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এতে বেথলেহেমসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফিলিস্তিনি অঞ্চল বাদ পড়বে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মতে, এ ধরনের পরিকল্পনা ফিলিস্তিনিদের স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষাকে ক্ষুণ্ণ করবে এবং তাদের স্বাভাবিক চলাচল ও স্বাধীনতার পথে বাধা সৃষ্টি করবে।

Staff Reporter
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos