পিএসসির নন-ক্যাডার পরীক্ষার প্রশ্ন বিক্রির মূল হোতাকে গ্রেপ্তার

পিএসসির নন-ক্যাডার পরীক্ষার প্রশ্ন বিক্রির মূল হোতাকে গ্রেপ্তার

বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) অধীনে আগামী ১২ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য থানা শিক্ষা অফিসার পরীক্ষার ‘৯০ শতাংশ কমন সাজেশন’ দেওয়ার নাম করে চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা ও অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) প্রতারক চক্রের মূল হোতাকে গ্রেপ্তার করেছে। সিআইডি জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার জামালপুরের মেলান্দহ থেকে একটি প্রশ্ন ফাঁসের নাটকের মাধ্যমে প্রতারণা করার

বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) অধীনে আগামী ১২ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য থানা শিক্ষা অফিসার পরীক্ষার ‘৯০ শতাংশ কমন সাজেশন’ দেওয়ার নাম করে চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা ও অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) প্রতারক চক্রের মূল হোতাকে গ্রেপ্তার করেছে।

সিআইডি জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার জামালপুরের মেলান্দহ থেকে একটি প্রশ্ন ফাঁসের নাটকের মাধ্যমে প্রতারণা করার অভিযোগে মতিউর রহমান (৩২) নামের এই মূল হোতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার নাসির উদ্দিনের ছেলে।

বুধবার সিআইডির সুপারনিউমারী অতিরিক্ত ডিআইজি মো. জাহিদুল ইসলাম সিআইডির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য দেন।

সংবাদ সম্মেলনে জাহিদুল ইসলাম বলেন, প্রতারক চক্রটি আগামী ১২ সেপ্টেম্বরের পিএসসির পরীক্ষা জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘সিক্রেট সাজেশন শিট’ শিরোনামে প্রলোভনমূলক পোস্ট দেয়। এই পোস্টে বলা হয়, যারা আগ্রহী তারা ৫৫০টি এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তরসহ সেটটি সংগ্রহ করতে পারবে, যার মাধ্যমে ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ প্রশ্নের উত্তর অনুমান করা সম্ভব।

প্রতারণার এ ফন্দি কাজে লাগাতে চক্রটি অগ্রিম অর্থ গ্রহণের জন্য শিক্ষার্থীদের আলাপের জন্য ইনবক্সে যোগাযোগ করতে বলে। ফলে অনেক চাকরি প্রার্থী এই সুক্ষ্ম প্রতারনার সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়ে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে তারা সর্বনিম্ন ২৮০ টাকা থেকে ১৬০০ টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিয়ে প্রশ্নের সেট সরবরাহ করে।

বিষয়টি নজরে আসার পর পিএসসির পক্ষ থেকে সিআইডিতে অভিযোগ করা হয়। আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় সিআইডি সঘনভাবে তদন্ত চালিয়ে মতিউর রহমানকে জামালপুর ও জেলা পুলিশের সহায়তায় গ্রেপ্তার করে।

প্র Corona এর সময় তার কাছ থেকে দুইটি মোবাইল ফোন ও একটি ল্যাপটপ জব্দ করা হয়, যা তার জড়িত থাকার প্রমাণ হিসেবে atm।

সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ ছাড়া আরও অন্যান্য আসামির সন্ধানে অভিযান চলছে, এবং তাদের গ্রেপ্তার ও বিচার প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে।

এক প্রশ্নের উত্তরে তারা জানান, বাজারে বিভিন্ন ধরনের গাইড বিক্রি হচ্ছে, যা মূলত শিক্ষার্থীদের ধারণা উন্নত করার জন্য। তবে আসল ঘটনা হলো, এই চক্রটি প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার জন্য এই কাজ করছে।

প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে ধৃত ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতার কারণে প্রশ্নপত্রের পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তনের কোনও পরিকল্পনা жоқ বলে জানিয়েছেন পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তর। তারা নিশ্চিত করেছেন, নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং এই ঘটনাটি কোনভাবেই পরীক্ষার পরিবেশ বা সময়সূচিতে প্রভাব ফেলবে না।

Staff Reporter
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos