অধূমপায়ীদের সুরক্ষা এবং তামাকের ক্ষতিকর প্রভাবের বিরুদ্ধে জোরালো সচেতনতা সৃষ্টি করার জন্য মৎস্য অধিদপ্তর একটি গুরুত্বপূর্ণ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারী ও সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে এই সভায় নেওয়া হয় সিদ্ধান্তের লক্ষ্য হলো অফিসের প্রাঙ্গণ সম্পূর্ণভাবে তামাকমুক্ত রাখা। সভাটি বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫) মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক
অধূমপায়ীদের সুরক্ষা এবং তামাকের ক্ষতিকর প্রভাবের বিরুদ্ধে জোরালো সচেতনতা সৃষ্টি করার জন্য মৎস্য অধিদপ্তর একটি গুরুত্বপূর্ণ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারী ও সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে এই সভায় নেওয়া হয় সিদ্ধান্তের লক্ষ্য হলো অফিসের প্রাঙ্গণ সম্পূর্ণভাবে তামাকমুক্ত রাখা।
সভাটি বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫) মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মোঃ আব্দুর রউফ। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিভাগের প্রধান বিভিন্ন কর্মকর্তাসহ মোট প্রায় ৪০ জন কর্মকর্তা।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ আতাউর রহমান মাসুদ, যিনি তামাকজাত দ্রব্যের ভয়াবহ ক্ষতিকর দিক এবং এর বহুমাত্রিক প্রভাব সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তামাক বিরোধী সংগঠন তাবিনাজের (তামাক বিরোধী নারী জোট) প্রতিনিধি সীমা দাস সীমু তার বক্তব্যে ধোঁয়ামুক্ত ও ধোঁয়াযুক্ত তামাকজাত দ্রব্যের প্রভাব ও গবেষণার তথ্য তুলে ধরেন। همچنین গ্রামীণ তামাক চাষ ও এর ক্ষতিকর দিক তুলে ধরেন তাবিনাজের কর্মী শারমিন কবীর বীণা।
আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ ও কর্মপরিকল্পনা প্রস্তাব করেন, যার মধ্যে রয়েছে:
– অফিসের প্রাঙ্গণে ধূমপানের জন্য কোনো স্মোকিং জোন থাকবে না।
– ক্যান্টিনে তামাকজাত দ্রব্যের বিক্রয় সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে হবে।
– দেশের সকল অফিস প্রাঙ্গণকে শতভাগ তামাকমুক্ত ঘোষণা করা হবে।
– সকল স্থানে ‘তামাকমুক্ত এলাকা’ লেখা সাইনেজ প্রবর্তন করা হবে।
সভায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এই লক্ষ্যে কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা ও অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। এটি শুধু একটি সিদ্ধান্ত নয়, এমন এক সামাজিক উদ্যোগ যা তামাকের ক্ষতিকর প্রভাব প্রতিরোধে বিভিন্ন স্তরে সচেতনতা ও পরিবেশ রক্ষণে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।