রূপগঞ্জে দ্রুতগামী ট্রাকের চাপায় যুবকের মৃত্যু

রূপগঞ্জে দ্রুতগামী ট্রাকের চাপায় যুবকের মৃত্যু

ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক প্রতিনিয়তই প্রাণ হারানোর এক আতঙ্কে পরিণত হয়েছে। এখানে দ্রুতগামী যানবাহনের কারণে বেশিরভাগ মানুষ জীবন হারাচ্ছে, বিশেষ করে যারা এই রাস্তায় প্রতিদিন যাতায়াত করে তারা মৃত্যুর মুখোমুখি হয়। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে পরিবারটি এখন নিঃস্ব হয়ে গেছে। কেউবা হারাচ্ছেন প্রিয় জীবনসঙ্গী, কেউবা স্বপ্ন ও আশা ভেঙে পড়েছে। এই দৃশ্যগুলো বলে যায় ঢাকাসহ সিলেট

ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক প্রতিনিয়তই প্রাণ হারানোর এক আতঙ্কে পরিণত হয়েছে। এখানে দ্রুতগামী যানবাহনের কারণে বেশিরভাগ মানুষ জীবন হারাচ্ছে, বিশেষ করে যারা এই রাস্তায় প্রতিদিন যাতায়াত করে তারা মৃত্যুর মুখোমুখি হয়। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে পরিবারটি এখন নিঃস্ব হয়ে গেছে। কেউবা হারাচ্ছেন প্রিয় জীবনসঙ্গী, কেউবা স্বপ্ন ও আশা ভেঙে পড়েছে। এই দৃশ্যগুলো বলে যায় ঢাকাসহ সিলেট মহাসড়কের নির্মম পরিস্থিতি। এখানকার নিত্যযাত্রীরা বলেন, “এখানে চোখের সামনেই অনেকের জীবন শেষ হয়ে গেছে। শুধু দেখতে থাকাটাই আমাদের পক্ষে সম্ভব, কিছু করার নেই।” স্থানীয় প্রশাসন কথায় কথায় শুধু লাশ গুনে গো, কোনও কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ।

একই দিনে, মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে দুটি লাশের ঘটনা ঘটে। প্রথম ঘটনাটি ঘটে রূপগঞ্জের আউখাব এলাকায়। সেখানে বুধবার ভোরে (২৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকাসিলেট মহাসড়কে দ্রুতগামী ট্রাকের চাপায় শেখ ফরিদ (২০) নামে এক যুবক নিহত হন। তিনি নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ থানার পালগাও এলাকার সুরুজ মিয়ার ছেলে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রাস্তা পারাপারের সময় দ্রুতগতির ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে গুরুতর আহত হন ফরিদ। স্থানীয় লোকজন তাকে ইউএস বাংলা হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

হাইওয়ে পুলিশ জানিয়েছে, রাস্তা পারাপারের সময় শেখ ফরিদের মৃত্যু ঘটেছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

অন্যদিকে, একই রাস্তায় ট্রাকের ধাক্কায় খাদে পড়ে কবির উদ্দিন (৫৫) নামে এক পোশাক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। তিনি রবিন টেক্সটাইলের ওভার প্রিন্ট বিভাগের কর্মী। বুধবার সকালে রবিন টেক্সটাইলের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত কবির উদ্দিন সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর থানার ফতেহপুর এলাকার মৃত তোয়ার মোল্লার ছেলে। ভোর ৬টার দিকে কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফেরার পথে এই দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে ইউএস বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

হাইওয়ে পুলিশ নিশ্চিত করে বলেছেন, এই ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচাজ অফিসার তরিকুল ইসলাম বলেছে, ‘আমাদের হাইওয়ে পুলিশ এখানে কাজ করে। এই রাস্তা আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই, তবে আমরা চেষ্টা করছি কিভাবে এই রাস্তায় মানুষের প্রাণনাশ কমানো যায়। আমাদের লোকসংকটের কারণে অনেক কিছু করতে পারছি না।’

Staff Reporter
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos