পাকিস্তানে বন্যায় নিহতের সংখ্যা ২৫ ছাড়ালো

পাকিস্তানে বন্যায় নিহতের সংখ্যা ২৫ ছাড়ালো

পাকিস্তানের পাঞ্জাবে ভয়াবহ বন্যা ও নদীভাঙনে অন্তত ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সূত্র জানায়, অস্বাভাবিক প্রবল বর্ষণের পাশাপাশি ভারত থেকে চেনাব, রাভি ও শতদ্রু নদীতে পানি ছাড়ার কারণে এই ভয়াবহ বন্যা সৃষ্টি হয়েছে। পাকিস্তানি সরকারি কর্মকর্তারা বলেছেন, এই বন্যা দেশের বিভিন্ন অংশে মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে। সিয়ালকোট জেলার সাম্বারিয়াল অঞ্চলসহ গুজরানওয়ালা, গুজরাট, নারোয়াল এবং হাফিজাবাদ জেলাগুলোর

পাকিস্তানের পাঞ্জাবে ভয়াবহ বন্যা ও নদীভাঙনে অন্তত ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সূত্র জানায়, অস্বাভাবিক প্রবল বর্ষণের পাশাপাশি ভারত থেকে চেনাব, রাভি ও শতদ্রু নদীতে পানি ছাড়ার কারণে এই ভয়াবহ বন্যা সৃষ্টি হয়েছে। পাকিস্তানি সরকারি কর্মকর্তারা বলেছেন, এই বন্যা দেশের বিভিন্ন অংশে মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে।

সিয়ালকোট জেলার সাম্বারিয়াল অঞ্চলসহ গুজরানওয়ালা, গুজরাট, নারোয়াল এবং হাফিজাবাদ জেলাগুলোর বহু পরিবারের জীবন বিপর্যস্ত হয়েছে। এই বন্যার কারণে শত শত গ্রাম পানিতে ডুবে গেছে, পাশাপাশি হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। অনেক গ্রামের কৃষিজমা, পশুপাখি ও ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাহাওয়ালনগরেও ঘরবাড়ি ও মাঠের ফসল ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

চেনাব নদীর পানি প্রবেশ করেছে চেনিওট ও ওজিরাবাদের অনেক গ্রামে। লাহোরের শাহদারা ও জাসারে রাভি নদীর পানির প্রবাহ তীব্র আকারে বৃদ্ধি পেয়েছে। পানির স্তর এরপর ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে বলে লাহোরের প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছেন।

অন্যদিকে, শতদ্রু নদীতেও বিপদজনক বন্যা দেখা দিয়েছে। গণ্ডা সিং ওয়ালায় পানির প্রবাহ দাঁড়িয়েছে ২৬১ হাজার কিউসেক, হেড সুলেমানকিতে তা ১৯ হাজার কিউসেক ছাড়িয়েছে। চিশতিয়ানে ভয়াবহ স্রোতে ছয়টি রক্ষাবাঁধ ভেঙে যেখানে বড় ধরনের উজাড়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এর ফলে শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে এবং প্রায় সাত হাজার একর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বাহাওয়ালনগর পরিস্থিতি সবচেয়ে বেশি উদ্বেগের। এখানকার একশর বেশি গ্রাম জলমগ্ন এবং প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। এর মধ্যে প্রায় ৯০ হাজার মানুষ বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। প্রবল প্রবাহে বাঁধ ভেঙে পড়েছে, ঘরবাড়ি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

স্থানীয় কৃষকরা ঘরবাড়ি রক্ষা করতে দীর্ঘ আট কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ করেছেন, তবে কর্মকর্তারা সতর্ক করে বলেছেন, বাঁধ ভেঙে গেলে আরও ২০ হাজার বাড়িঘর ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে। এখুনি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে যাতে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো যায়।

Staff Reporter
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos