পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার ৩২ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার ৩২ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে

কিশোরগঞ্জের প্রখ্যাত পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলার পর এবার ৩২ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। এখন এই টাকা গণনা চলছে। ঐতিহাসিক এই মসজিদটিতে মোট ১৩টি দানবাক্স রয়েছে, যা সাধারণত তিন মাস পরপর খোলা হয়। তবে এইবার একটানা ৪ মাস ১৮ দিন অপেক্ষার পর খোলা হলো। ধারণা করা হচ্ছে, এই পরিমাণটি অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যেতে পারে। আজ

কিশোরগঞ্জের প্রখ্যাত পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলার পর এবার ৩২ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। এখন এই টাকা গণনা চলছে। ঐতিহাসিক এই মসজিদটিতে মোট ১৩টি দানবাক্স রয়েছে, যা সাধারণত তিন মাস পরপর খোলা হয়। তবে এইবার একটানা ৪ মাস ১৮ দিন অপেক্ষার পর খোলা হলো। ধারণা করা হচ্ছে, এই পরিমাণটি অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যেতে পারে।

আজ সকাল সোয়া ৭টায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক মো: এরশাদুল আহমেদের তত্ত্বাবধানে, জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরীর উপস্থিতিতে দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এর আগে ২০২৫ সালের ১২ এপ্রিল, মসজিদের ১১টি দানবাক্স খুলে ২৮ বস্তা টাকা পাওয়া গিয়েছিল। সেই সময়ের গণনায় মোট টাকা দাঁড়ায় ৯ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার ৬৮৭ টাকা। এছাড়া বৈদেশিক মুদ্রা, স্বর্ণ ও রুপার অলংকারও ছিল আনাজে। ঐ সময় ৪ মাস ১২ দিনের মধ্যে এই পরিমাণ অর্থ দানবাক্সে জমা হয়েছিল, যা তখন প্রথমবারের মতো রেকর্ড হয়েছিল। প্রচুর মানুষ স্বর্ণালংকার, বৈদেশিক মুদ্রা, টাকা-পয়সার পাশাপাশি হাঁস, মুরগি, গরু, ছাগল দান করেছিল।

পাগলা মসজিদের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই গণনায় অংশ নিয়েছেন মসজিদের সংলগ্ন মাদ্রাসার ১২০ জন ছাত্র, আল-জামিয়াতুল ইমদাদিয়া মাদ্রাসার ২২০ ছাত্র, মসজিদের ৪৫ জন স্টাফ, রূপালী ব্যাংকের ১০০ কর্মকর্তা এবং অর্ধ শতাধিক পুলিশ সদস্য।

জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান জানিয়েছেন, আজ দানবাক্স খোলার সময় ৩২ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। এর মধ্যে এখন গণনার শেষ পর্যায়ে। তিনি আরও বলেন, অদূর ভবিষ্যতে পাগলা মসজিদ কেন্দ্রিক একটি আধুনিক ইসলামি কমপ্লেক্স গড়ে তোলা হবে। এই কমপ্লেক্স হবে ১০ তলা বিশিষ্ট, যেখানে থাকবে নিবিড় শিক্ষা, ধর্মীয় পাঠ, মাদ্রাসা, একটি সমৃদ্ধ পাঠাগার, ক্যাফেটেরিয়া এবং আইটি সেকশন।

বর্তমানে এই মসজিদের আয়তন ৫.৫ একর। ভবিষ্যতের জন্য আরও স্থান সংরক্ষণের পরিকল্পনা রয়েছে। বর্তমানে মসজিদের অ্যাকাউন্টে মানুষের দানে জমা আছে প্রায় ৯০ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।

ফৌজিয়া খান জানান, এই প্রকল্পের জন্য ইতিমধ্যেই ১২টি প্রতিষ্ঠান নকশা জমা দিয়েছে। রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ দল একটি প্রতিষ্ঠানকে মনোনীত করেছে। জেলা প্রশাসন ও মসজিদ কমিটি দ্রুত কাজ শুরু করবে।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী বলেন, দানবাক্স খোলা থেকে শুরু করে টাকা ব্যাংকে পৌঁছে দেওয়া পর্যন্ত পুলিশিভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

দানবাক্স খোলার পরে স্থানীয় সব মানুষেরা উৎসাহ নিয়ে গণনা পর্যবেক্ষণ করেন। অনেকেই দূরদুরান্ত থেকে এসে এই দৃশ্য দেখতে আসেন। সপ্তাহের প্রথম দিকে, বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষ উত্সাহের অঙ্গ হিসেবে দান করে থাকেন।

মসজিদে নিয়মিত হাঁস, মুরগি, গরু, ছাগলের পাশাপাশি অন্যান্য অনেক জিনিসপত্রও দান করে থাকেন অনেকে।

Staff Reporter
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos