বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবার ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবার ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ আবার একেবারে নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। গতকাল বুধবার দেশের আন্তর্জাতিক রিজার্ভের পরিমাণ শেষ পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে ৩১ বিলিয়ন ৩৩ লাখ ডলার। বৈদেশিক মুদ্রার এই রিজার্ভের হিসাবের জন্য আন্তর্জাতিক অর্থ সংস্থা আইএমএফের পদ্ধতি অনুসারে এই পরিমাণ ২৬ বিলিয়ন ৩১ লাখ ডলার। জানিয়ে রাখি, গত রোববারের হিসাব অনুযায়ী, গ্রস রিজার্ভ ছিল ৩০ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ আবার একেবারে নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। গতকাল বুধবার দেশের আন্তর্জাতিক রিজার্ভের পরিমাণ শেষ পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে ৩১ বিলিয়ন ৩৩ লাখ ডলার। বৈদেশিক মুদ্রার এই রিজার্ভের হিসাবের জন্য আন্তর্জাতিক অর্থ সংস্থা আইএমএফের পদ্ধতি অনুসারে এই পরিমাণ ২৬ বিলিয়ন ৩১ লাখ ডলার। জানিয়ে রাখি, গত রোববারের হিসাব অনুযায়ী, গ্রস রিজার্ভ ছিল ৩০ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলার, আর আইএমএফের পদ্ধতিতে সেটা ছিল ২৫ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশের রিজার্ভের এই বৃদ্ধি বেশ কিছু কারণের জন্য ঘটছে। গত জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে (আকু) বাংলাদেশ ২০২ কোটি ডলার পরিশোধ করেছে। এর ফলে গ্রস রিজার্ভে কিছুটা কমে গেছে, যা এখন দাঁড়িয়েছে ২৯ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলার। একই সময়ে আইএমএফের পদ্ধতিতে রিজার্ভ কমে ২৪ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার ছিল।

উল্লেখযোগ্যভাবে, রেমিট্যান্সে উচ্চ প্রবৃদ্ধি, রপ্তানি আয় বাড়া এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার দেওয়া ঋণের কারণে গত জুনের শেষে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ বৃদ্ধি পেয়েছিল। সে সময় সেটি ছিল ৩১ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার, যা ছিল সেই মূহুর্তের সর্বোচ্চ।

অতীতে, ২০২৩ সালের মার্চের শুরুতে রিজার্ভ ৩২ বিলিয়ন ডলার থেকে নিচে নামতে শুরু করেছিল। ওই বছর জুনের শেষে আইএমএফের পদ্ধতিতে রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলার, এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক তখন প্রকাশ করেছিল যে, হিসাব অনুযায়ী মোট রিজার্ভ ২৪ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো, ২০২১ সালের আগস্টে রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করে। তখন থেকে ধীরে ধীরে এই সংখ্যাটা কমতে থাকলেও, চলতি বছরের প্রথম দিকে এই ক্ষতি কিছুটা প্রত্যাশিত। জুলাই মাসে পরিমাণ দাঁড়ায় ২০ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলারে। তবে, বর্তমান সময়ে অর্থনীতির উন্নতি, কঠোর নিয়ন্ত্রণ ও হুন্ডি প্রবাহ কমানোর ফলস্বরূপ, প্রবাসী আয়ের পরিমাণ ব্যাপক বৃদ্ধি পায়। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবাসী আয়ে প্রায় ২৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। চলতি অর্থবছরের ২০ আগস্ট পর্যন্ত, রেমিট্যান্স আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৯ দশমিক ৬০ শতাংশ বেড়ে ৪১২ কোটি ডলার পৌঁছেছে।

Staff Reporter
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos