এপ্রিলের পর চলতি বছরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজারের কাছাকাছি

এপ্রিলের পর চলতি বছরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজারের কাছাকাছি

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৪৩০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সুখের বিষয়, এদের মধ্যে কেউ মৃত্যুবরণ করেননি। তবে এই বছর এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ১১৮ জনের, এবং রেকর্ড হওয়া আক্রান্তের সংখ্যা চার লাখের কাছাকাছি—হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ২৯ হাজার ৯৪৪ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৪৩০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সুখের বিষয়, এদের মধ্যে কেউ মৃত্যুবরণ করেননি। তবে এই বছর এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ১১৮ জনের, এবং রেকর্ড হওয়া আক্রান্তের সংখ্যা চার লাখের কাছাকাছি—হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ২৯ হাজার ৯৪৪ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য থেকে জানা যায়, গতকাল বুধবার এই তথ্য প্রকাশিত হয়। তারা জানায়, আগস্ট মাসে এখন পর্যন্ত ৮ হাজার ৯৬৪ জন ডেঙ্গুক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং মারা গেছেন ৩৫ জন। বর্তমানে দেশব্যাপী সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ১ হাজার ৪২৬ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন, এর মধ্যে ঢাকায় ৪৭৮ জন ও ঢাকার বাইরে বিভিন্ন বিভাগে অন্য ৯৪৮ জন।

একদিকে যেমন আগের মাসগুলিতে আক্রান্তের সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, তেমনি প্রতি মাসের মৃত্যুর সংখ্যা ট্রেন্ডও উদ্বেগজনক। জানুয়ারিতে ১ হাজার ১৬১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, ফেব্রুয়ারিতে ৩৭৪ জন, মার্চে ৩৩৬ জন, এপ্রিলে ৭০১ জন, মে-তে ১ হাজার ৭৭৩ জন, জুনে ৫ হাজার ৯৫১ জন, মাসের শেষে জুলাইয়ে সংখ্যাটি পৌঁছায় ১০ হাজার ৬৮৪ জনে। মৃত্যুর সংখ্যাও মাসের ধরন অনুসারে উল্লেখযোগ্য—জানুয়ারিতে ১০ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩ জন, এপ্রিলে ৭ জন, মে-তে ৩ জন, জুনে ১৯ জন ও জুলাইয়ে ৪১ জন।

বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, আগামী সেপ্টেম্বর মাসে উচ্চ আর্দ্রতা ও অবিরাম বর্ষার কারণে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে। পরিস্থিতির উন্নতি নিশ্চিত করতে হলে সচেতনতা বাড়ানো, লার্ভিসাইডিং কার্যক্রম জোরদার করা ও সঠিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) গুলশানে আয়োজিত ‘ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া সংলাপ আগস্ট ২০২৫: প্রতিরোধ, প্রস্তুতি ও নিরসন’ শীর্ষক সমন্বয় সভায় এই পূর্বাভাস তুলে ধরা হয়। সেখানে জানানো হয়, পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও ফগিংয়ের পাশাপাশি রোগ নিয়ন্ত্রণে সচেতনতার অভাব ও সরকারি উদ্যোগের কমতি অন্যতম বাধা। অপরিকল্পিত নগরায়ণ, পানি নিষ্কাশনের সমস্যা ও আবহাওয়ার পরিবর্তন এই মশব্যাধির বিস্তারকে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য ব্যাপক সমন্বয় প্রয়োজন বলে মত প্রকাশ করেন বিশেষজ্ঞরা।

Staff Reporter
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos