ডিসেম্বরের মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাড়ে ১৩ হাজার শিক্ষক নিয়োগের পরিকল্পনা

ডিসেম্বরের মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাড়ে ১৩ হাজার শিক্ষক নিয়োগের পরিকল্পনা

আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাড়ে ১৩ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনাნა করেছে সরকার। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বর্তমানে কোনো শিক্ষক পদ শূন্য নেই, বরং আমাদের কাছে রয়েছে সাড়ে ১৩ হাজার শূন্য পদ। আগস্টের মধ্যে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে এবং ডিসেম্বরে এই

আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাড়ে ১৩ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনাნა করেছে সরকার। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বর্তমানে কোনো শিক্ষক পদ শূন্য নেই, বরং আমাদের কাছে রয়েছে সাড়ে ১৩ হাজার শূন্য পদ। আগস্টের মধ্যে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে এবং ডিসেম্বরে এই নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।

গতকাল শনিবার কিশোরগঞ্জের শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময়সভায় তিনি এ তথ্য তুলে ধরেন। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমার নিজের জন্মস্থান হাওর অঞ্চলে আমি জানি অবস্থা কতটা জটিল। হাওর, চরাঞ্চল বা অন্যান্য প্রত্যন্ত এলাকায় শিক্ষকরা থাকতে না চেয়ে শহরে বদলি হতে চান। তবে নিয়ম অনুযায়ী, যেখানে পোস্টিং দেওয়া হয়, সেখানেই থাকতে হয়।’ তিনি আরো বলেন, ‘তবে তদবির বা বদলির চাপের কারণে বাস্তবতা অনেকটাই পরিবর্তিত। এসব সমস্যা আমাদের সামাজিক ও রাজনৈতিক সমস্যাও বটে।’

সম্প্রতি সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা দশম গ্রেডে উন্নীত হবেন। তাদের নিয়ন্ত্রণকারী সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তারাও একই গ্রেডে থাকবেন। এ ব্যাপারে প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, ‘তারা দশম গ্রেডে থাকলেও প্রশাসনিক চেইন ভেঙে যাবে, এমনটা নয়। তবে তাদেরও গ্রেড উন্নত করার প্রয়োজন রয়েছে।’

মতবিনিময়সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা। তিনি বলেন, ‘কিশোরগঞ্জে বর্তমানে ৮০৫ জন শিক্ষক প্রশিক্ষণবিহীন আছেন। তাদের দ্রুত প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে। এছাড়া, ১৮০টি স্কুলে চালু হচ্ছে স্কুল ফিডিং কর্মসূচি। পাশাপাশি সহকারী শিক্ষকদের মূল্যায়নও চালানো হবে।’

সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিজাবে রহমত। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এনডিসি (পলিসি অ্যান্ড অপারেশন) মোহাম্মদ কামরুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মুকিত সরকার এবং জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মজিব আলম।

Staff Reporter
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos