তারেক রহমান: প্রচলিত রাজনীতির ধারার গুণগত পরিবর্তন জরুরি

তারেক রহমান: প্রচলিত রাজনীতির ধারার গুণগত পরিবর্তন জরুরি

প্রতিরোধ, প্রতিহিংসা ও কথামালার ধর্মী রাজনীতির পরিবর্তে বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা গ্রহণ ও তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের রাজনীতিতে গুরুতর ও সমন্বিত পরিবর্তন আনা এখন সময়ের দাবি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে একটি আলোচনাসভার ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথন বলেন।

প্রতিরোধ, প্রতিহিংসা ও কথামালার ধর্মী রাজনীতির পরিবর্তে বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা গ্রহণ ও তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের রাজনীতিতে গুরুতর ও সমন্বিত পরিবর্তন আনা এখন সময়ের দাবি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে একটি আলোচনাসভার ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথন বলেন। তারেক রহমান বলেন, “প্রত্যেক মা-বাবা চান যেন তাদের সন্তানের জন্য একটি নিরাপদ ভবিষ্যত তৈরি হয়। প্রত্যাশা পূরণের লক্ষ্যনিয়ে দেশের নেতৃত্বদানকারী দল হিসেবে বিএনপি আগামী দিনের জন্য নতুন করে রাজনৈতিক পরিকল্পনা ও কর্মসূচি গ্রহণ করছে। কারণ, বর্তমান প্রজন্মের নিরাপত্তা ও স্বার্থ রক্ষার জন্য আমাদের প্রচলিত রাজনীতির ধারা থেকে সরে আসা অপরিহার্য।” তিনি আরও বলেন, “প্রতিরোধ, প্রতিহিংসা ও কথামালার রাজনীতির পরিবর্তে বাস্তবমুখী পরিকল্পনা ও তার পুনঃপ্রয়োগের মাধ্যমে দেশের রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনতে হবে।” পাশাপাশি তিনি বলেন, “বর্তমান বিশ্ব আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) এর যুগে প্রবেশ করেছে, যেখানে এই নতুন প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে আমাদের কোনো বিকল্প থাকবে না। বিএনপি ইতিমধ্যে বিভিন্ন সেক্টরকে চিহ্নিত করে সুনির্দিষ্ট ও সূচিন্তিত পরিকল্পনা গ্রহণ করছে।” তারেক রহমান আরও জানান, “শিক্ষার্থীরা স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষে বা মনোভাব পরিবর্তনের কারণে যদি পড়াশোনা বাদ দেয়, তাহলে তাদের বেকার জীবন কাটানো ঠেকাতে আমাদের নতুন পরিকল্পনা রয়েছে। এই পরিকল্পনার আওতায়, স্কুল থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় স্তর পর্যন্ত অন্তর্ভুক্ত করা হবে কার্যকর ও ব্যবহারিক শিক্ষা।” তিনি আরও বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকার সম্ভাব্য ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা করতে পারে। এই নির্বাচন দেশের জনগণের জন্য দেড় দশকের বেশি সময় পরে নিজেদের দীর্ঘদিনের এজেন্ডা বাস্তবায়নের সুযোগ সৃষ্টি করবে। তবে, নির্ধারিত সময়ে ভোটের কার্যক্রম নিয়ে কিছু ফ্যাসিবাদবিরোধী দলের সদস্যের বক্তব্য কিছু নাগরিকের মনে প্রশ্ন তুলেছে।” তিনি দেশের সব রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের উদ্দেশে সতর্ক করে বলেন, “দূরত্ব বাড়লে রাজনীতিতে ফ্যাসিস্ট ও প্রতিপক্ষ চক্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠার সুযোগ সৃষ্টি হবে। এজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে, যাতে গণতন্ত্র বিপন্ন না হয়।” তিনি সংকেত দেন যে, জনগণের সচেতনতা ও জাগরুকতা গুরুত্বপূর্ণ, যেন বিভ্রান্তি বা অপরাজনীতির বিরুদ্ধে সবাই একত্র হয়ে থাকেন।

Staff Reporter
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos