জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জ বলেছেন, ইউক্রেনকে তাদের ভূখণ্ড ছেড়ে দিতে বাধ্য করা উচিত নয়। এই মন্তব্য তিনি সোমবার করেছেন, যেখানে তিনি বলেন, আলোচনার সময়ে ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চল রাশিয়ার কাছে স্বেচ্ছায় ছেড়ে দিতে চাপ দেওয়া অযৌক্তিক এবং অনৈতিক। তিনি এটিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা ছেড়ে দেওয়ার সাথে তুলনা করেন, যেখানে অঞ্চলটি অখণ্ডিতভাবে জড়িয়ে রয়েছে। ওয়াশিংটন থেকে বার্তা
জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জ বলেছেন, ইউক্রেনকে তাদের ভূখণ্ড ছেড়ে দিতে বাধ্য করা উচিত নয়। এই মন্তব্য তিনি সোমবার করেছেন, যেখানে তিনি বলেন, আলোচনার সময়ে ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চল রাশিয়ার কাছে স্বেচ্ছায় ছেড়ে দিতে চাপ দেওয়া অযৌক্তিক এবং অনৈতিক। তিনি এটিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা ছেড়ে দেওয়ার সাথে তুলনা করেন, যেখানে অঞ্চলটি অখণ্ডিতভাবে জড়িয়ে রয়েছে। ওয়াশিংটন থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এই খবর দেয়। হোয়াইট হাউসের আলোচনার পর মের্জ সাংবাদিকদের জানান, ডনবাসের যে অংশটি ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, সেটি রাশিয়ার দাবীতে ছেড়ে দেওয়াটা হাস্যকর—ঠিক যেমন মার্কিন রাষ্ট্রের ফ্লোরিডা ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাবও অযৌক্তিক। ট্রাম্প যখন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে স্বাগত জানিয়েছেন, তখন তিন দিন পর তিনি হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সাথে শীর্ষ ইউরোপীয় নেতাদের বৈঠকে যোগ দেন মের্জ। সেখানে তিনি জানিয়ে দেন, আলোচনার সময় পুতিন ও ট্রাম্প একমত হয়েছেন যে, দুই সপ্তাহের মধ্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ফেব্রুয়ারি ২০১২ সালের ২৮শে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সাথে জেলেনস্কির বৈঠক হয়েছিল। ওই সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, ইউক্রেনে তাদের ভুইখণ্ড ছাড়তে হবে। ফেব্রুয়ারি ২০২২ সালে রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ চালায় এবং ডনবাস অঞ্চলের কিছু অংশকে রুশ কর্তৃপক্ষ সংযুক্ত করে ঘোষণা দেয়। আন্তর্জাতিকভাবে এই动作 স্বীকৃত নয়। মের্জ উল্লেখ করেন, ট্রাম্প ইউক্রেনের নিরাপত্তার জন্য দৃঢ় প্রতিশ্রুতির কথা জানিয়েছিলেন, যদিও নিজস্ব অবস্থানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইউরোপীয় দেশগুলোর ওপর এই দায়িত্ব চাপিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, মূল বিষয় হলো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রস্তুত এবং ইউরোপীয় সদস্যদের সাথে সমন্বয় করে তা কার্যকর করবে। একটি শান্তি চুক্তি হলে, ইউক্রেনের জন্য উপযুক্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।