নির্বাচনে ভয় পায় যারা, তারা পিআর পদ্ধতি চায়: শামসুজ্জামান দুদু

নির্বাচনে ভয় পায় যারা, তারা পিআর পদ্ধতি চায়: শামসুজ্জামান দুদু

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, যারা পিআর পদ্ধতি নিয়ে গোঁ ধরে থাকছেন, তারা সাধারণত নির্বাচনের ভয় থেকেই এ পদ্ধতির দাবি করে থাকেন। শনিবার সকালে চুয়াডাঙ্গার নিজ বাসভবনে নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের সামনে এ মন্তব্য করেন তিনি। দুদু আরও বলেন, এই পদ্ধতির প্রতি তাদের আগ্রহের মূল কারণ হলো, নির্বাচনে ভয় পাওয়ার পেছনে কিছু রাজনৈতিক

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, যারা পিআর পদ্ধতি নিয়ে গোঁ ধরে থাকছেন, তারা সাধারণত নির্বাচনের ভয় থেকেই এ পদ্ধতির দাবি করে থাকেন। শনিবার সকালে চুয়াডাঙ্গার নিজ বাসভবনে নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের সামনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

দুদু আরও বলেন, এই পদ্ধতির প্রতি তাদের আগ্রহের মূল কারণ হলো, নির্বাচনে ভয় পাওয়ার পেছনে কিছু রাজনৈতিক বাস্তবতা রয়েছে। অনেক ইসলামি দল আছে, যাদের প্রার্থী কেউ কখনো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে পারেননি। এর মধ্যে অন্যতম হলো ইসলামী আন্দোলন। আওয়ামী লীগের কাছে এই দলের ব্যাপক দুর্বলতা দেখা গেছে, বিশেষ করে বরিশালের শেষ নির্বাচনের পর থেকে তারা আরও বেশি প্রতিবাদী হয়ে উঠেছে। আওয়ামী লীগের সময়ে হওয়া সব নির্বাচনে তারা অংশ নিয়েছে, তাদের মতে, আওয়ামী লীগই তাদের মূল শক্তি।

তিনি উল্লেখ করেন, যারা পিআর পদ্ধতি চায়, তারা ভাবছেন এটা খুবই জনপ্রিয় একটি পদ্ধতি। কিন্তু যদি তারা সত্যিই বিশ্বাস করে এই পদ্ধতি তাদের জন্য লাভজনক, তাহলে সরাসরি নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়ে জয়লাভ করে দেখার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। কারণ, এই পদ্ধতি চালুর জন্য সংসদে প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা দরকার, যা সহজে পাওয়া যায় না। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই পদ্ধতিতে নির্বাচনের পর কয়েক বছরের মধ্যে সরকারের পতন ঘটে বেশ কয়েকবার, যেমন নেপালে। তিনি বলেন, দেশের অগ্রগতি, শান্তি ও উন্নয়ন অগ্রসর করতে হলে সরকারের স্থিতিশীলতা অপরিহার্য, যা পিআর পদ্ধতিতে হয় না।

ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে অন্যান্য দলের অংশগ্রহণের ব্যাপারে দুরদ বক্তব্যে বলেন, বর্তমানে দেশে সরকারি দল যেমন নেই, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করাতে হলে সব রাজনৈতিক দলই স্ব স্ব উদ্যোগে অংশগ্রহণ করতে হবে। এর জন্য বিভিন্ন দাবি ও চাহিদা থাকতে পারে, যা নির্বাচনী প্রচারনায় তুলে ধরতে হবে। এসব দাবি যদি সাধারণ মানুষ গ্রহণ করে, তখনই সেই দলের জয় সুনিশ্চিত হবে। কিন্তু অন্যের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খাওয়া বা অন্যের প্রতিপক্ষের ক্ষতি করে নিজের দাবি প্রতিষ্ঠা করা ঠিক নয়।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ওয়াহেদুজ্জামান বুলা ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

Staff Reporter
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos