তারেক রহমানের দেশে ফিরতে বাধা কোথায়?

তারেক রহমানের দেশে ফিরতে বাধা কোথায়?

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের দুই মামলায় হাইকোর্টের রায়ে গত রোববার খালাস পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এই দুই মামলায় খালাস পেলেও এখনো কয়েকটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত তিনি। আইনজীবীদের প্রত্যাশা, বাকি মামলাগুলোতেও ন্যায়বিচার পাবেন তিনি। তারেক রহমানের আইনজীবী ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম নেতা ব্যারিস্টার কায়সার

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের দুই মামলায় হাইকোর্টের রায়ে গত রোববার খালাস পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এই দুই মামলায় খালাস পেলেও এখনো কয়েকটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত তিনি। আইনজীবীদের প্রত্যাশা, বাকি মামলাগুলোতেও ন্যায়বিচার পাবেন তিনি।

তারেক রহমানের আইনজীবী ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম নেতা ব্যারিস্টার কায়সার কামাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আরও চারটি মিথ্যা মামলায় তারেক রহমান সাজাপ্রাপ্ত। তিনি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যেমন ন্যায়বিচার পেয়েছেন, আশা করি সাজাপ্রাপ্ত ওই চারটি মামলায়ও ন্যায়বিচার পাবেন।’

যে চার মামলায় সাজা ঝুলছে

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি মামলায় তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানকে ২০২৩ সালের ২ আগস্ট সাজা দেন ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত ও মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান। রায়ে তারেককে ৯ বছর ও জোবাইদাকে ৩ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

তারেক রহমানকে পলাতক ঘোষণা করে ওই মামলার বিচারকাজ শেষ করা হয়। পলাতক থাকায় এই মামলায় আপিল হয়নি।

২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর সিঙ্গাপুরে অর্থ পাচারের মামলায় ঢাকার একটি বিশেষ জজ আদালত তারেক রহমানকে খালাস দেন। ওই মামলায় তারেকের বন্ধু ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে দুদক তারেক রহমানকে খালাস দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে। ওই আপিল শুনানি শেষে হাইকোর্ট ২০১৬ সালের ২১ জুলাই বিচারিক আদালতের খালাসের রায় বাতিল করে তারেক রহমানকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেন। পাশাপাশি ২০ কোটি টাকা জরিমানা করেন।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় তারেকের ১০ বছরের দণ্ড হয়। এই মামলায় সাজা হয় তাঁর মা সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ারও।

২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তারেক রহমানকে নড়াইলের একটি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ২ বছরের কারাদণ্ড দেন। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করায় নড়াইলে তারেকের বিরুদ্ধে মানহানির এ মামলা করেছিলেন এক বীর মুক্তিযোদ্ধা।

২০১৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর লন্ডনে যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত এক সমাবেশে বঙ্গবন্ধুকে রাজাকার ও পাকবন্ধু আখ্যা দিয়ে বেশ কিছু বক্তব্য দেন তারেক রহমান। সেই খবর প্রকাশিত হয় দেশের একটি জাতীয় দৈনিকে। এতে বঙ্গবন্ধুর সম্মানহানি হয়েছে জানিয়ে সে সময় নড়াইলের বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান বিশ্বাস নড়াইল জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তারেকের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন।

সিলেটের দুটি মামলা খারিজ

সিলেটে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দুই ছাত্রলীগ নেতার দায়েরকৃত দুটি মামলা খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। বাদী উপস্থিত না হওয়ায় রোববার (১ ডিসেম্বর) সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতের বিচারক ছগির আহমদ মামলা দুটি খারিজের রায় দেন।

আদালতের অতিরিক্ত পিপি আবু ফাহাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ২০১৪ সালে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দুই ছাত্রলীগ নেতার দায়েরকৃত দুটি মামলা বাদী উপস্থিত না হওয়ায় গতকাল খারিজ করেছেন আদালত।

২০১৪ সালে সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরান (রহ.) থানায় মামলা দুটি করেন সিলেট জেলা ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক এম রায়হান চৌধুরী ও সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি শামীম মোল্লা।

Staff Reporter
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos