৭ ক্যাটাগরিতে ‘মুক্তিযুদ্ধ পদক’ দেবে সরকার

৭ ক্যাটাগরিতে ‘মুক্তিযুদ্ধ পদক’ দেবে সরকার

মহান মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ ও চেতনা বিকাশে অবদান রাখা ব্যক্তি এবং সংগঠন ও সংস্থাকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সম্মানিত ও উৎসাহিত করার লক্ষ্যে সাত ক্যাটাগরিতে ‘মুক্তিযুদ্ধ পদক’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রতি বছরের ১৫ ডিসেম্বর এই পদক দেওয়া হবে। সোমবার (৯ আগস্ট) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ‘মুক্তিযুদ্ধ পদক নীতিমালা-২০২১’-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। যে ৭ ক্যাটাগরিতে

মহান মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ ও চেতনা বিকাশে অবদান রাখা ব্যক্তি এবং সংগঠন ও সংস্থাকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সম্মানিত ও উৎসাহিত করার লক্ষ্যে সাত ক্যাটাগরিতে ‘মুক্তিযুদ্ধ পদক’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রতি বছরের ১৫ ডিসেম্বর এই পদক দেওয়া হবে। সোমবার (৯ আগস্ট) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ‘মুক্তিযুদ্ধ পদক নীতিমালা-২০২১’-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

যে ৭ ক্যাটাগরিতে মুক্তিযুদ্ধ পদক দেওয়া হবে:

(১) স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখা সংগঠন

(২) সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ ও বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন

(৩) স্বাধীনতা পরবর্তীকালে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন

(৪) মুক্তিযুদ্ধ-স্বাধীনতা বিষয়ক সাহিত্য রচনা

(৫) মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্র/তথ্যচিত্র/নাটক নির্মাণ/সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড

(৬) মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা বিষয়ক গবেষণা

(৭) মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ।

এছাড়া সরকার কর্তৃক নির্ধারিত অন্য যেকোনো ক্ষেত্রে এ পদক দেওয়া হবে। পদকপ্রাপ্তদের ১৮ (আঠার) ক্যারেট মানের ২৫ (পঁচিশ) গ্রাম স্বর্ণ দিয়ে তৈরি একটি পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা এবং দুই লাখ টাকা দেওয়া হবে।

পদক পাওয়ার যোগ্যতা:

ব্যক্তি পর্যায়ে এ পদকের জন্য মনোনীত ব্যক্তিকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। তবে, মহান মুক্তিযুদ্ধে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখা বিদেশিদেরও এ পদক দেওয়া যাবে। পদকের জন্য ব্যক্তির সামগ্রিক জীবনের কৃতিত্ব ও অবদানকে গুরুত্ব দেওয়া হবে।

বেসরকারি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের স্বীকৃত কোনো প্রতিষ্ঠান অথবা যুদ্ধকালীন বা যুদ্ধ পরবর্তী সর্বজনবিদিত সংগঠন হতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালনে অনন্য ভূমিকা রেখেছে এমন হতে হবে।

পদক পাওয়ার ক্ষেত্রে অযোগ্যতা:

(১) রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপে বা ফৌজদারি আইনে শাস্তিপ্রাপ্ত বা দেউলিয়া কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এ পদক প্রাপ্তির জন্য বিবেচিত হবেন না।

(২) একবার পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পরবর্তী ১০ বছরে একই বিষয়ে পুনরায় পদকের জন্য বিবেচিত হবেন না।

(৩) মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে এ পদক দেওয়া হবে না।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় বছরের নির্দিষ্ট সময়ে ‘মুক্তিযুদ্ধ পদক’ দেওয়ার জন্য মনোনয়ন আহবান করবে। মনোনয়ন আহ্বান করা হলে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে তা জানানো হবে।

Staff Reporter
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos