বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ

বাংলাদেশ ব্যাংকের ১ বিলিয়ন ডলার ২০১৬ সালে চুরির পরিকল্পনা করে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা। যদিও তারা মাত্র ৮১ মিলিয়ন ডলার সরাতে সক্ষম হয়। কিন্তু বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র এবং বিচ্ছিন্ন দেশটি কীভাবে এলিট সাইবার ক্রিমিনাল টিম তৈরি করল সেটিই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কীভাবে হয়েছিল এ ঘটনা, এ নিয়ে তদন্তে নানা বিষয় উঠে আসে। হ্যাকারদের পরিচয় এবং

বাংলাদেশ ব্যাংকের ১ বিলিয়ন ডলার ২০১৬ সালে চুরির পরিকল্পনা করে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা। যদিও তারা মাত্র ৮১ মিলিয়ন ডলার সরাতে সক্ষম হয়। কিন্তু বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র এবং বিচ্ছিন্ন দেশটি কীভাবে এলিট সাইবার ক্রিমিনাল টিম তৈরি করল সেটিই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কীভাবে হয়েছিল এ ঘটনা, এ নিয়ে তদন্তে নানা বিষয় উঠে আসে। হ্যাকারদের পরিচয় এবং কোথা থেকে তারা এসেছিলো, সেই বিস্তারিত বিবিসির এক প্রতিবেদনে বিস্তারিতভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনাটি তুলে ধরা হয়েছে। ১০ পর্বের নতুন প্রতিবেদন রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির কাহিনি।

প্রতিবেদনে জানা যায়, কীভাবে বিপুল অর্থ সরানোর জন্য একদল হ্যাকার ভয়াবহ পরিকল্পনা করে। চুরির যে আলামত এখন পর্যন্ত পাওয়া গেছে তাতে উত্তর কোরিয়া এ ঘটনায় জড়িত বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।

বিবিসি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে জানা যায়, হ্যাকাররা এ ঘটনার জন্য যে মূল যন্ত্র ব্যবহার করে তা হলো বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি ত্রুটিযুক্ত প্রিন্টার। মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের দশম তলায় অত্যন্ত সুরক্ষিত ঘরের অভ্যন্তরে বসানো ছিলো প্রিন্টারটি। কোটি কোটি ডলারের ট্রান্সফার ব্যাংকের বাইরে ও ভেতরে প্রবাহিত হওয়ার রেকর্ড ছাপানো হতো এটি দিয়ে।

শুরুতে কর্মকর্তাদের কাছে ত্রুটিপূর্ণ এ প্রিন্টার ছিলো কেবল একটি ঝামেলা। প্রযুক্তির সমস্যা ছাড়া তেমন একটা বড় ব্যাপার বলে মনে হয়নি কারও। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক হলো দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যারা কিনা এমন একটি দেশের মূল্যবান মুদ্রার মজুত তদারকির জন্য দায়বদ্ধ, যেখানে লাখ লাখ মানুষ দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করে।

২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা ৪৫ মিনিট থেকে প্রিন্টারটি কাজ করছিলো না। কেউ আসলে বিষয়টি নিয়ে তেমন মাথাব্যথা দেখাননি। সে সময় ডিউটি ম্যানেজার ছিলেন জুবায়ের বিন হুদা। পরে তিনি পুলিশকে বলেন, ‘আমরা ধরে নিয়েছিলাম যে এটি অন্য যেকোনো দিনের মতো একটি সাধারণ সমস্যা, এর আগে এমন হয়েছে।’

২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে জালিয়াতি করে সুইফট কোডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার হাতিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। পরে ওই টাকা ফিলিপাইনে পাঠানো হয়। দেশীয় কোনো চক্রের সহায়তায় হ্যাকার গ্রুপ রিজার্ভের অর্থ পাচার করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Staff Reporter
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos