প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের খিচুড়ি খাওয়ানোর প্রকল্প বাতিল

প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের খিচুড়ি খাওয়ানোর প্রকল্প বাতিল

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের খিচুড়ি বিতরণের প্রস্তাব বাতিল করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে খিচুড়ির পরিবর্তে অন্য কোনো খাবারের ব্যবস্থা করতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার (০১ জুন) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এসব কথা বলেন। একনেক সভা

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের খিচুড়ি বিতরণের প্রস্তাব বাতিল করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে খিচুড়ির পরিবর্তে অন্য কোনো খাবারের ব্যবস্থা করতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।

মঙ্গলবার (০১ জুন) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এসব কথা বলেন।

একনেক সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, আজ সভায় একটি প্রকল্প অনুমোদন পায়নি। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। প্রধানমন্ত্রী এ প্রকল্পটি ভালোবাসেন, স্নেহ করেন। কিন্তু প্রকল্পটির স্ট্রাকচার নিয়ে তার সংশয় আছে। এজন্য তিনি নির্দেশনা দিয়ে প্রকল্পটি ফেরত পাঠিয়েছেন।

মন্ত্রী বলেন, আমরাও চাই সকল শিক্ষার্থী স্কুলে খাবার পাক। তবে এই প্রকল্পের স্ট্রাকচার পরিবর্তন করে সম্পূর্ণ নতুনভাবে প্রস্তাব করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বৈঠক থেকে জানা গেছে, একনেক সভায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সারা দেশে ১ কোটি ৪৮ লাখ শিক্ষার্থীকে সপ্তাহের পাঁচ দিন খিচুড়ি, এক দিন বিস্কুট খাওয়ানোর একটি প্রকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করে। ‘প্রাইমারি স্কুল মিল’ শিরোনামের প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট খরচ দেখানো হয় ১৭ হাজার ২৯০ কোটি টাকা। কিন্তু প্রকল্পটি অনুমোদন না করে ফেরত পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

বৈঠকে উপস্থিত সরকারের নীতিনির্ধারকরা জানান, এই প্রকল্পেটি প্রধানমন্ত্রীর পছন্দ হয়নি। কারণ, স্কুলের শিক্ষার্থীদের খিচুড়ি বিতরণ করতে গেলে ঠিকাদার নিয়োগ দিতে হবে। এনজিও নিয়োগ দিতে হবে। হাঁড়িপাতিল কেনাকাটা করতে হবে। চাল, ডাল, তেল, শাকসবজি এসব কিনতে হবে।

এতে শিক্ষার ওপর ব্যাঘাত ঘটতে পারে। এটি বাস্তবায়ন করতে গেলে স্কুলের শিক্ষকেরাও রান্না এবং কেনাকাটার দিকে মনোযোগী হয়ে উঠতে পারেন বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। তাই এত বিশাল কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়ন না করে স্কুলের শিক্ষার্থীদের কলা-বিস্কুট, দুধ-ডিম দেওয়া যায় কিনা, সেটি ভেবে দেখতে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।

Staff Reporter
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos