লকডাউনে শর্ত মেনে নাটকের শুটিং

লকডাউনে শর্ত মেনে নাটকের শুটিং

শুরু হলো সরকার ঘোষিত ‘সর্বাত্মক লকডাউন’। চলবে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত। আর এই সময়ে নাটকের দৃশ্য ধারণ বন্ধ রাখার বিষয়ে আন্তঃসংগঠনের নেতারা একমত পোষণ করলেও ‘শর্ত পূরণ’ করে স্বল্পপরিসরে করা যাবে জরুরি দৃশ্য ধারণের কাজ। টেলিভিশনের পাঁচ সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এমনটাই জানানো হয়েছে। নাটকের সংগঠন এফটিও, টেলিপ্যাব, ডিরেক্টরস গিল্ড, অভিনয়শিল্পী সংঘ,

শুরু হলো সরকার ঘোষিত ‘সর্বাত্মক লকডাউন’। চলবে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত। আর এই সময়ে নাটকের দৃশ্য ধারণ বন্ধ রাখার বিষয়ে আন্তঃসংগঠনের নেতারা একমত পোষণ করলেও ‘শর্ত পূরণ’ করে স্বল্পপরিসরে করা যাবে জরুরি দৃশ্য ধারণের কাজ।

টেলিভিশনের পাঁচ সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এমনটাই জানানো হয়েছে।

নাটকের সংগঠন এফটিও, টেলিপ্যাব, ডিরেক্টরস গিল্ড, অভিনয়শিল্পী সংঘ, টেলিভিশন নাট্যকার সংঘের নেতাদের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘প্রতিদিন আমরা শিল্পী ও কলাকুশলীদের করোনায় আক্রান্ত হবার খবর পাচ্ছি, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। জীবনের আগে কাজ হতে পারে না! লকডাউনে সকল প্রকার চিত্রধারণের কাজ আন্তসংগঠন বন্ধ রাখার ব্যাপারে একমত পোষণ করেছে।’

অতি জরুরি কিছু হলে আন্তঃসংগঠনের দেওয়া শর্ত পূরণ করে দৃশ্য ধারণের কথা বলা হয়েছে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে। এতে বলা হয়েছে, সরকার ঘোষিত প্রজ্ঞাপন অনুযায়ি প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া লকডাউনের আওতামুক্ত বিধায় অতি জরুরি চিত্র ধারণ স্বল্প পরিসরে নিম্ন লিখিত শর্ত পূরণ করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্পাদন করে সেলফ কোয়ারেন্টান সম্পন্ন করতে নির্দেশনা দেওয়া হলো।

যে শর্তগুলোর কথা বলছে:

১. আন্তঃসংগঠনের দেয়া স্বাস্থ্য বিধি কঠোরভাবে মেনে কাজ শেষ করতে হবে।

২. দৃশ্য ধারণের আগে সংশ্লিষ্ট ইউনিট প্রধান সকল শিল্পী কলাকুশলীর তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণ এবং শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে সর্বশেষ তথ্য অবহিত থাকবেন।

৩. করােনার এই তীব্রতার মধ্যে পরিস্থিতি বিচারে কোন শিল্পী, কলাকুশলীকে তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে চিত্রধারণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করার ব্যাপারে জোর করা যাবে না। এই পরিস্থিতিতে যে কোন শিল্পী সঙ্গত যুক্তি দেখিয়ে চুক্তিবদ্ধ কাজ থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করতে পারবেন।

৪. ঢাকা শহর অথবা ঢাকার বাইরে চিত্রধারণে সংশ্লিষ্ট ইউনিট যথাযথ স্বাস্থ্য বিধি মেনে সকল শিল্পী কলাকুশলীদের আনা নেয়ার জন্য পর্যাপ্ত গাড়ির ব্যাবস্থা করবেন।

৫. সদস্যবৃন্দের যে কোন পরিস্থিতি এড়াতে নিজ নিজ সংগঠনের পরিচয়পত্র সাথে রাখবেন।

৬. যেহেতু প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ আছে অতীব জরুরি প্রয়ােজন ছাড়া বাইরে বের হওয়া যাবে না। বিধায় জরুরি প্রয়ােজনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্তৃক প্রদত্ত চলাচলের অনুমতি পত্র (মুভমেন্ট পাস) নিয়ে বের হবেন।

এই স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা হচ্ছে কিনা তা দেখার জন্য চার সদস্যের পর্যবেক্ষক দল গঠনের কথাও বলা হয় বিজ্ঞপ্তিতে। সাজ্জাদ হোসেন দোদুল, মুনিরা ইউসুফ মেমি, পিকলু চৌধুরী ও আহসান আলমগীর ওই পর্যবেক্ষক দলে আছেন।

Staff Reporter
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos