করোনার টিকার জন্য আলাদা অর্থ রাখা আছে :অর্থমন্ত্রী

করোনার টিকার জন্য আলাদা অর্থ রাখা আছে :অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন বা টিকা কেনার জন্য আলাদা অর্থ রাখা হয়েছে। টিকার জন্য একটি উেসর ওপর নির্ভর না করে একাধিক উত্স থেকে সংগ্রহের ব্যবস্থা করতে হবে। গতকাল বুধবার সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ও অর্থনৈতিক মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী। ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে এ

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন বা টিকা কেনার জন্য আলাদা অর্থ রাখা হয়েছে। টিকার জন্য একটি উেসর ওপর নির্ভর না করে একাধিক উত্স থেকে সংগ্রহের ব্যবস্থা করতে হবে। গতকাল বুধবার সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ও অর্থনৈতিক মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী। ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘যারাই টিকা তৈরি করছে তাদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ করতে হবে। এজন্য আমরা কিছু অর্থ রেখে দিয়েছি, যখন প্রয়োজন হবে, তখন যাতে টিকা কিনতে পারি।’

করোনার টিকা বিষয়ে সরকারের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন। যেহেতু আমরা এখনো এ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত পাইনি, তাই মনে হয় আমার চূড়ান্তভাবে কিছু বলা ঠিক হবে না।’ তিনি বলেন, ‘টিকা নিয়ে আমার সাধারণ জ্ঞানে যা বুঝি, একটি সিঙ্গেল সোর্সের ওপর বসে থাকলে হয়তো কষ্ট হবে, সেজন্য একাধিক সোর্স থেকে এই টিকা সংগ্রহের চেষ্টা করতে হবে। ইতিমধ্যে দেখেছি, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ টিকা উত্পাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে, অগ্রিম টাকাপয়সাও দিয়েছে। আমি স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে সে কথাই বলেছি, আমাদেরও সে ধরনের ব্যবস্থায় যেতে হবে।’

ক্রয় কমিটিতে দুই প্রস্তাব অনুমোদন

সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে দুটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর একটি হলো বাংলাদেশের ৩০টি পৌরসভায় পানি সরবরাহ এবং স্যানিটেশন প্রকল্পের পরামর্শসেবার জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের প্রস্তাব। ৩৮ কোটি ২ লাখ টাকা ব্যয়ে এই ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো), বাংলাদেশের কাছ থেকে চুক্তিবদ্ধ সাড়ে ৫ লাখ মেট্রিক টনের মধ্যে দ্বিতীয় লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৫৭ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।

ক্রয় কমিটির আগে অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে দুটি প্রস্তাবের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর একটি হলো বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলায় আড়িয়াল খাঁ নদের সংরক্ষণ ও ড্রেজিং’ শীর্ষক প্রকল্পের কাজসমূহ রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি (ডিপিএম) অনুসরণে বাস্তবায়নের প্রস্তাব। দ্বিতীয়টি হলো, পদ্মা বহুমুখী সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ ও টোল আদায়ের লক্ষ্যে জি-টু-জি ভিত্তিতে সার্ভিস প্রভাইডার নিয়োগের সরাসরি ক্রয় পদ্ধতির প্রস্তাব। অর্থমন্ত্রী জানান, পদ্মা বহুমুখী সেতুর নির্মাণকাজ শেষে সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ ও টোল আদায় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে এবং জনস্বার্থে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি অনুসরণ করে কোরিয়ান এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশনকে সার্ভিস প্রভাইডার নিয়োগ দেওয়া হবে।

Staff Reporter
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos