গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলা মামলার রায় ২৭ নভেম্বর ঘোষণা করা হবে। আসামিপক্ষের টানা চার দিনের যুক্তিতর্ক শেষে আজ রোববার বিকেলে আদালত এই মামলার রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য করেন। রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) গোলাম সারওয়ার খান আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন। অপরদিকে চার আসামির আইনজীবী মো. দেলোয়ার হোসেন বলেছেন, তাঁরা ন্যায়বিচার চান।
গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলা মামলার রায় ২৭ নভেম্বর ঘোষণা করা হবে। আসামিপক্ষের টানা চার দিনের যুক্তিতর্ক শেষে আজ রোববার বিকেলে আদালত এই মামলার রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) গোলাম সারওয়ার খান আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন। অপরদিকে চার আসামির আইনজীবী মো. দেলোয়ার হোসেন বলেছেন, তাঁরা ন্যায়বিচার চান।
এর আগে নৃশংস এই হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত আট জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড চেয়ে ৭ নভেম্বর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করে রাষ্ট্রপক্ষ। যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের শেষ দিনে রাষ্ট্রপক্ষ সব আসামির মৃত্যুদণ্ড চায়।
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। তারা অস্ত্রের মুখে দেশি-বিদেশি অতিথিদের জিম্মি করে। ওই রাতে অভিযান চালাতে গিয়ে পুলিশের দুই কর্মকর্তা নিহত হন। পরদিন সকালে সেনা কমান্ডোদের অভিযানে পাঁচ জঙ্গিসহ ছয়জন নিহত হন। পরে পুলিশ ১৮ বিদেশিসহ ২০ জনের লাশ উদ্ধার করে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান একজন রেস্তোরাঁ কর্মী। হামলার আড়াই বছরের মাথায় গত বছরের ২৩ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। এরপর ওই বছরের ২৬ নভেম্বর আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মামলার বিচারকাজ।
এই মামলায় গ্রেপ্তার আট জঙ্গি আসামি হলেন রাশেদ ওরফে র্যাশ, রাকিবুল ইসলাম ওরফে রিগ্যান, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী, মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, হাদিসুর রহমান ওরফে সাগর, আবদুস সবুর খান ওরফে সোহেল মাহফুজ ওরফে হাতকাটা মাহফুজ, শরিফুল ইসলাম খালেদ ও মামুনুর রশিদ।