অবশেষে সেই লেডি ডন গ্রেফতার

অবশেষে সেই লেডি ডন গ্রেফতার

অবশেষে গ্রেফতার হলেন ১১২ অপরাধের আসামি দিল্লির লেডি ডন ‘মাম্মি’। গত চার দশক ধরে ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেডের তালিকার শীর্ষে ছিল যার নাম। খুন, অপহরণ, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, অস্ত্র ও মাদকের চোরাচালান- কি না করেছেন এ মাফিয়া ডন! ৬২ বছরের এই লেডি ডন তার আট ছেলেকে নিয়ে ভারতের সঙ্গম বিহারে গড়েছিলেন এক অন্ধকার রাজ্য। বিহারের অধিবাসী এই

অবশেষে গ্রেফতার হলেন ১১২ অপরাধের আসামি দিল্লির লেডি ডন ‘মাম্মি’। গত চার দশক ধরে ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেডের তালিকার শীর্ষে ছিল যার নাম।

খুন, অপহরণ, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, অস্ত্র ও মাদকের চোরাচালান- কি না করেছেন এ মাফিয়া ডন!

৬২ বছরের এই লেডি ডন তার আট ছেলেকে নিয়ে ভারতের সঙ্গম বিহারে গড়েছিলেন এক অন্ধকার রাজ্য।

বিহারের অধিবাসী এই লেডি ডন মাম্মি। অন্ধকার জগতে তাকে সবাই মাম্মি বলে ডাকলেও তার আসল নাম বসিরণ।

৬২ বছরের অপরাধ জগতের ক্যারিয়ারে মাম্মি ওরফে বসিরণ ভারতের আইন, আদালত, পুলিশ কাউকেই পাত্তা দেননি।

আদালত তাকে বারবার ডাকলেও শতাধিক মামলায় অভিযুক্ত মাম্মি কখনই হাজিরা দিতে যাননি।

অবশেষে পুলিশের জালে এসে ধরা পড়লেন বসিরণ ওরফে মাম্মি। চার দশকেরও বেশি সময় ধরে গ্যাং চালানোর পর গ্রেফতার হলেন তিনি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, বারবার আদালতে হাজিরার নির্দেশ অমান্য করায় বসিরণের সম্পত্তি সম্প্রতি বাজেয়াফত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল।

ঠিক এ সময় সঙ্গম বিহার পুলিশ স্টেশনে আসে একটি ফোন। এক ফোনেই নড়েচড়ে ওঠে বিহার পুলিশ।

সেই ফোনে ভেসে আসে একটি কণ্ঠ। কণ্ঠটি জানায়, কীভাবে সম্পত্তি রক্ষা করা যায় তা নিয়ে মাম্মি তার আট পুত্রের সঙ্গে আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন।

কখন, কোথায় গোপন বৈঠকে বসবেন এ মাফিয়া চক্র তার একটি নিদের্শনা দেয় বিহার পুলিশের সেই গোপন সোর্স।

খবর পেয়েই অভিযানের প্রস্তুতি শুরু হয়। দিল্লি পুলিশের ডিসি সাউথ রোমিল বানিয়া জানান, সঙ্গম বিহারের পুলিশ অফিসার উপেন্দর সিংহের নেতৃত্বে গোপনে অভিযান চালানো হয়। সফল এ অভিযানে আমরা মোস্ট ওয়ান্টেড বসিরণ ওরফে মাম্মিকে ধরতে পারি।

মাম্মিকে গ্রেফতারের চেষ্টা এর আগেও করেছে দিল্লি পুলিশ। কিন্তু প্রতিবারই আইনের জাল কেটে আর পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে গেছেন মাম্মি। গত বছরের সেপ্টেম্বরে মিরাজ নামে এক ব্যক্তিকে নৃশংসভাবে পুড়িয়ে হত্যা করে মাম্মি। সেই খুনের সূত্র ধরেই এবার সাত মাসের প্রচেষ্টায় তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।

কীভাবে বসিরণ হয়ে উঠলেন মাফিয়া ডন মাম্মি তার পেছনে রয়েছে এক গল্প, যা রুপালি পর্দার কাহিনীকেও হার মানায়।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সত্তরের দশকে রুজি-রুটির টানে নিরীহ এক গৃহবধূ রাজস্থান থেকে দিল্লি আসেন। বয়স তখন তার মাত্র ষোলো। এই উঠতি বয়সে অনেক বাধার সম্মুখীন হন তিনি। এভাবে খাবার, আশ্রয়ের জোগান নিশ্চিত করতে একদিন প্রবেশ করেন অন্ধকার জগতে।

ছোটখাটো ছিচকে চুরি দিয়ে শুরু হয় তার অপরাধে ক, খ, গ। এর পর আর পাঁচটা ডনের মতোই গ্যাং তৈরি করে সঙ্গম বিহারে গড়ে তোলেন নিজের রাজত্ব।

বসিরণের আট ছেলের প্রতিটি খুন, অপহরণ, চাঁদাবাজি ও সিন্ডিকেটের মতো একাধিক অপরাধে জড়িত। প্রত্যেকের নামে অসংখ্য মামলা রয়েছে পুলিশের খাতায়।

সে কারণেই বসিরণ গ্রেফতারের পর তার মাম্মি গ্যাং নির্মূল করতে আরও অনেক কাঠখড় পোড়াতে হবে বলে মনে করছেন বিহার পুলিশকর্তারা।

Staff Reporter
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos